চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) রোববার দুপুরে করোনার টিকাবিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা টিকার জোগান নিশ্চিত করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে ডাবল ডোজ টিকা দেয়া সম্ভব হবে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে ১২ কোটি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা হবে।’
তিনি বলেন, অক্টোবরে ৩ কোটি, নভেম্বরে পৌনে ৪ কোটি, ডিসেম্বরে ৫ কোটি ও জানুয়ারিতে পৌনে ৪ কোটি ডোজ টিকা আসবে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। দেশের করোনা সেবা নিশ্চিতে হাসপাতালগুলোর ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ বেড এখন খালি। রোগীর চাপ এখন কমে আসছে। স্বস্তিতে আছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। দেশ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা তার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।’
স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা স্বস্তির সাথে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব ভুলে গেলে চলবে না।
‘নতুন কোনো করোনার ঢেউ যেন না আসে, সে জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে ২৬ কোটি টিকা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।’
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর জোর দিয়ে সচিব লোকমান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার এখন দুই শতাংশের নিচে, তবে যেকোনো সময় এই সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
খুলনা গেজেট/এনএম