খুলনার পাইকগাছা পৌরসদরে টিসিবি’র ডিলারের বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নিতী ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে অন্তত তিন শতাধিক কার্ডধারী পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানানো হয়, পাইকগাছা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে টিসিবির কার্ডধারী উপকারভোগীর সংখ্যা ১৬৪১ জন। গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে সর্বোমোট ৪০৫ টাকায় পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে তেল, চিনি ও ডাল বিক্রয়ের কথা ছিল। তবে নির্ধারিত দিনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পণ্য বিক্রি না করে সংশ্লিষ্ট ডিলার পরবর্তীতে ২৬ নভেম্বর কৌশলে পৌরসভা সদরস্থ টাউন স্কুলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত পণ্য বিক্রয় করেন।
ভুক্তভোগী টিসিবির কার্ডধারীদের অভিযোগ, গত ২২ ও ২৩ নভেম্বর পণ্য বিক্রির দিন ধার্য করা হলেও ট্যাগ অফিসার ইমান উদ্দিনের যোগসাজশে ডিলার মেসার্স কপিলমুনি ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী মনোয়ার হুসাইন উপকারভোগীদের অর্ধেকের কাছে টিসিবির পণ্য বিক্রি করে বাকি প্রায় ৩ শতাধিক উপকারভোগীদের পণ্য বেশি দামে অন্যত্র বিক্রির করেছেন।
এ ব্যাপারে টিসিবির কার্ডধারী উপকারভোগী মনিরুজ্জামান, সাত্তার, সেলিম ও লিজাসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তী দিনে গত ২৬ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে টিসিবির পণ্য কিনতে গেলে ডিলারের পক্ষে মাল নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দীন গাজী বলেন, ট্যাগ অফিসার ইমান উদ্দিন ও ডিলার দরজা লাগিয়ে পণ্য বিক্রি করেছেন। তিনি আরো বলেন, তার ওয়ার্ডের ২৫ জন কার্ডধারীসহ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অন্তত ৩ শতাধিক কার্ডধারী এদিন পণ্য কিনতে পারেননি। ট্যাগ অফিসার ইমান উদ্দিনের যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট ডিলার ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে টিসিবির পণ্য অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে নতুবা বেশি দামে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার। বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষে কামনা করেন।
এব্যাপারে ডিলার মোনোয়ার হুসাইন বলেন, ম্যাম (ইউএনও) যেভাবে বলেছেন সেভাবে পণ্য বিক্রি করা হয়েছে।
ট্যাগ অফিসার ইমান উদ্দিন বলেন, ২ দিন ধরে পণ্য বিক্রির বিষয়টি তার জানা ছিলনা। ডিলার যেভাবে বলেছেন সেভাবে বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান, আমরা তদন্ত করে দেখেছি প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।