ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কবিরাজের অপচিকিৎসায় ঝলসে গেছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর শরীর। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের মেয়ে। সে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভন্ড কবিরাজ সায়েদ আলী দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ কবিরাজি করে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে আসছে। স্থানীয়ভাবে অনেকবার অনেক গ্রাম্য সালিশ মিমাংসা হলেও ইতোপূর্বে কেউ আইনের আওতায় আসে নাই। এ ঘটনার সাথে সায়েদ আলীর স্ত্রী পাপিয়া খাতুনও জড়িত আছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগীর পিতা জানান, মেয়ের উপদৃষ্টির ভাব হলে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা সংযুক্ত শুড়া গ্রামের সায়েদ আলী নামের কবিরাজের নিকট নিয়ে আসা হয়। তিনি প্রথমে মেয়েকে ঝাড়ফুক ও পানি পড়া দিয়ে চিকিৎসা করতে থাকেন। কোন প্রকার উন্নতি না হওয়ায় ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে মেয়ের তিনি বাঁধা দেন।
পরবর্তীতে তাকে ও সাথে থাকা মামুনকে পানিপড়া খাইয়ে অচেতন করে ফেলে ওই কবিরাজ। পরে মেয়েকে শারিরীক নির্যাতিন করতে থাকে। মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ভন্ড কবিরাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানায় এলাকাবাসি।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে হরিণাকুণ্ডু থানায় ভিকটিমের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানা পরিদর্শক (তদন্ত)আক্তারুজ্জামান লিটন জানান,থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড