বিশ্বকাপে এসে জয় কি জিনিস যেন ভুলে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে উড়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংলিশরা। সেটাই শেষ। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন থেকে সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
অবশেষে অষ্টম ম্যাচে এসে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ইংলিশরা।
বুধবার (০৮ নভেম্বর) পুনেতে নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের ৩৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হয়েছে ডাচরা। প্রথম ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়ে দিয়ে ফিরেছেন মিডলঅর্ডারের ব্যাটাররা।
ইনিংস শুরু করে সেটার পূর্ণতা দিতে পারেননি কেউই। সিব্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও স্কট এডওয়ার্ডস দারুণ শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। একজন ৩৩ ও আরেকজন ৩৮ রানে আউট হয়েছেন।
সঙ্গীর অভাবে তেজা নিদামানুরু ৪১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন আলি ও আদির রশিদ। দুটি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি।
এর আগে ইংলিশদের আরেকটি হতাশার ব্যাটিং প্রদর্শনী থেকে বাঁচিয়েছেন বেন স্টোকস। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শুধু সেঞ্চুরিই করেননি, দলকে বড় সংগ্রহও এনে দিয়েছেন।
৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান করেছে ইংল্যান্ড। স্টোকস ব্যাটিংয়ে নামেন ২১তম ওভারে। ১০৮ রান করে যখন ফিরছেন, তখন বাকি আর ইনিংসের দুই বল। ৮৪ বলে সমান ৬ চার ও ৬ ছক্কায় নেদারল্যান্ডস বোলারদের ওপর ভালোই তাণ্ডব চালিয়েছেন স্টোকস।
১৯২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর স্টোকসের সঙ্গে ক্রিস ওকসের জুটি ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে। সপ্তম উইকেটে দুজনের ১২৯ রানের জুটি। ৪৫ বলে ৫১ রান করেছেন ওকস। তাঁর ইনিংসে ৫ চার ও ১ ছক্কা। এর আগে ৪৮ রানের ওপেনিং জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটে মালান ও রুট জুটির রান ৮৫।
রুট ২৮ রান করে আউট হয়েছেন। দলের সংগ্রহে আর ৬ রান যোগ করে ৮৭ রানে ফেরেন মালানও। এরপর স্টোকসের লড়াকু শতক। যেটা ইংল্যান্ডকে লড়ার পুঁজি এনে দেয়।
খুলনা গেজেট/কেডি