খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

জুট স্পিনার্স শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের তাগিদ শ্রম অধিপ্তরের

ফুলবাড়িগেট প্রতিনিধি

শিরোমনি শিল্পাঞ্চলের ব্যক্তিমালিকানাধীন জুট স্পিনার্সের শ্রমিকদের শ্রম আইন মোতাবেক পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে খুলনা বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তর। জুট স্পিনার্সের ব্যাচিং বিভাগের শ্রমিক মুজিবর রহমান তার চূড়ান্ত পাওনা শ্রম আইন মোতাবেক না পেয়ে খুলনা বিভাগয়ি শ্রম পরিচালক এর দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মুজিবর রহমান জুট স্পিনার্স মিলের ব্যাচিং বিভাগের খ পালার ক্লিনার পদের একজন শ্রমিক হিসাবে ১৯৮৮ সালে যোগদান করে ১৯৯৮ সালে স্থায়ী হয়। ২০১৬ সালে মিলটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে মিল মালিকের নিকট তার ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৪ টি সার্ভিস পাওনা রয়েছে। প্রায় ৩ বছরের সার্ভিস ছুটি ২০১৬ সালের পর থেকে বোনাস সার্ভিস ছুটি , মেডিকেল ছুটি, ক্যাজুয়াল এবং ৩৮ সপ্তাহের বিল পাওনা রয়েছে। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে মিলের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কল্যাণ তহবিল হিসাবে প্রতি সপ্তাহে ১৫ টাকা করে কর্তন করে মিল কর্তৃপক্ষ। উক্ত টাকাও সে ফেরত পাইনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করে । এছাড়া ২ টি ঈদের বোনাস , প্রতিটি সার্ভিসে ২ টি গ্রাইচুটি থাকলেও ১ টি গ্রাইচুটি কম দিতে চাই মালিকপক্ষ , শ্রম আইন অনুয়ায়ি মালিক টাকা পরিশোধ না করে শ্রম আইন লংঘন করে তাদের হিসাব অনুযায়ি টাকা দিতে চাইলে মিল শ্রমিক মুজিবর রহমান সে টাকা নিয়ে শ্রম অধিদপ্তরে তার পাওনা টাকা বুঝে পাওয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ করেন।

মুজিবুর রহমানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান গত ২২ নভেম্বর  স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জুট স্পিনার্স মালিক কতৃপক্ষকে মিলের শ্রমিক মুজিবর রহমানকে প্রতি বছরের চাকুরীর জন্য দেড়টার পরিবর্তে ২ টি করে গ্রাচ্যুইটির প্রাপ্যতা হিসাব করে তার চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করে শ্রম দপ্তরকে অবহিত করার অনুরোধ করেছেন।

খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন পাটকল শিল্প সেক্টরের জন্য সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালের ২২ মে ঘোষিত নিম্নতম মুজুরীর গেজেটে মুজুরী এবং অনন্য পাওনাদী নির্ধারণের ১০ নং শর্ত হলো তফসিল উল্লেখিত নিম্নতম মুজুরী ও বিভিন্ন ভাতাদি ছাড়াও শ্রমিক ও কর্মচারীগণ কর্মরত প্রতিষ্ঠানে উৎসবভাতা ও গ্রাইচুটি সহ অন্যান্য যে সকল সুযোগ সুবিধা ও ভাতা পেয়ে থাকেন তা বাংলাদেশ শ্রম আইন , ২০০৬ এ ধারা ৩৩৬ এর বিধান মোতাবেক বলবৎ ও অব্যাহত থাকবে।  ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট, শিল্প সেক্টরের জন্য সরকার কর্তৃক ২০১৩ সালের ২২ মে ঘোষিত নিম্নতম মুজুরীর গেজেটের ১০ নং শর্ত এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এ ধারা ৩৩৬ এর বিধান মতে শ্রমিক কর্মচারীদের ভোগকৃত অধিকার বা সুযোগ সুবিধা ব্যহত বা ক্ষতিগ্রস্থ করা যাবেনা।

তিনি আরো বলেন, শুধু জুট স্পিনার্স নয় বেসরকারী সকল জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের শ্রম আইন মোতাবেক তাদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করতে হবে, যদি কোন মালিক কারোর প্ররোচনায় পরে শ্রমিক ঠকানোর চিন্তা করে তাহলে অবশ্যই সে মালিককে আইনের আওতায় আনা হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!