জোনাকজ্বলা সন্ধ্যায় প্রকৃতির মায়াবী প্রহরে –
রাজী নদীর তীর ধরে হাটলাম।
চোখের নিমিষে দেখলাম, অন্ধকারে সাঁঝে ঢেকেছে –
নীলাকাশ ! ঘনিছে অন্ধকার, বাঁধ ভাঙা জলস্রোতে হাটুজলে
ভিজলাম।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে নদীর পানি প্রবল ঢেউয়ে উত্তাল।
ধ্বংসস্তূপে ঘরবাড়ী, মাঠঘাট জনপদ, সবুজ বৃক্ষমালা,
ঝড়ের তান্ডব অতি ভয়াল-রূপে বিরূপ বেসামাল।
জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে শস্য-শ্যামল
বাংলার সুফসল।
দেখি, কর্মব্যস্ত জীবন-স্থবির সবার।
বাস্তব কঠিন সংগ্রামে, বেঁচে থাকা উপকূলবাসী –
নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষের অনিরাপদ
জীবন যাপন, রাত্রি প্রহর যেন বজ্রবিজলী চমকে ঝলমল।
নিম্নচাপ, সাইক্লোনের সংকেত পেলে সাগর
– পাড়ের মানুষ, ছুটে নিজ আলয় ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রস্থল।
দুর্যোগে গবাদী পশুরও করে প্রতিপালন।
কভু হাজারো মানুষের কত আহাজারি, দুর্ভোগের
রজনী পোহায় না আর, অতি তাড়াতাড়ি হয় না
কুসুম ফোটা স্নিগ্ধ সকাল।
মানবতার সেবায় বাংলাদেশের মানুষ যায় এগিয়ে,
যাদের নাই অন্নবস্ত্র , দেহে নাই বল ।
তাদের ত্রাণ করে বিতরণ।
স্রষ্টার অপার করুনায় গড়ে মনোবল, বাঁচে ওরা,
এক অসহ জীবন।
নির্লোভ বাসনায় কায়িক শ্রমে ডুবে থাকে জেলেগণ
জীবন যুদ্ধে কায়ক্লেশে দিনাতিপাত করে নিয়ত
সাগরে মাছ ধরে চালায় পরিবার পরিজন।
খুলনা গেজেট/ এস আই