জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের পাশে আটপুকুর গেটে জামায়াত নেতা রবিউল ইসলামকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করার চেষ্টার অভিযোগে আদারতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামানসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩০ জনকে আমসামী করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের শাহবাজ মোল্যার ছেলে আনারুল ইসলাম মোল্ল্যা বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ১নং আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্যতম আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরার তৎকালিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মোঃ ইব্রাহীম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখা পুলিশের ওসি সরদার মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, ঘোনা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান একে ফজলুল হক মোশা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফের ছেলে রাসেল ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু সহ ৫৯ জান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদের মুক্তির জন্য জামায়াত ও শিবির জেলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছিলো। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাদির ছেলে জামায়াত কর্মী রবিউল ইসলাম জেলা পরিষদের পাশে আটপুকুর নামক স্থানের প্রধান ফটকের কাছে অন্যান্য আন্দোলনকারিদের সাথে অবস্থান করছিলো। হামলাকারি আসামীরা রাস্তা আটকে বেড় দিয়ে রবিউলকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেন। পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় ওই সময় মামলা করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকায় বৃহষ্পতিবার এ মামলা দায়ের করা হলো।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সালাম।
খুলনা গেজেট/ টিএ