খুলনা, বাংলাদেশ | ১২ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জাহাজে ৭ খুনে জড়িতদের বিচার দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিকদের লাগাতার কর্মবিরতি শুরু
  মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং
ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস

জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মুক্তির অন্যতম প্রেরণা ৭ নভেম্বর: এড. মনা

গেজেট ডেস্ক

১৯৭৫ সালের ঐতিহাসিক সাত নভেম্বর সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের জনগণ মিলে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত করে, যে বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে শুরু করেন উল্লেখ করে খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃতপক্ষে সাত দফা গোলামী চুক্তি, ৩০ বছর মেয়াদী মৈত্রী চুক্তি দেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের আনন্দকে ফিকে করে দেয়। এছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট এবং এসবের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে দেয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহযোগিতা করলেও ভারত কখনোই বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক তা চায়নি। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে কোন শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকুক, কোন দৃঢ় ও স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি থাকুক- এটা ভারত চায়নি।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপির তিন দিনের কর্মসুচির প্রথম দিনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, নতুন বাংলাদেশে আজ ফিরে এসেছে ৭ নভেম্বর, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। স্বৈরাচারী সরকার দিবসটি বাতিল করেছিল। কিন্তু সংগঠিত জাতির কোনো চেতনা চিরতরে মুছে ফেলা যায় না। ১৯৭৫ সালের এ দিনে আধিপত্যবাদ মোকাবেলার যে শানিত চেতনায় সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সেই চেতনা মুছে যায়নি; বরং হাসিনার জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও আধিপত্যবাদ তোষণের রাজনীতির কারণে গত সাড়ে ১৫ বছরে তা আরো বেশি তীব্র ও সর্বব্যাপ্ত হয়েছিলো।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, আজ ২০২৪ সালের এই নভেম্বরেও দেশ থেকে স্বৈরাচারের বিপদ পুরোপুরি কেটে যায়নি। প্রতি মুহূর্তে প্রতিবিপ্লবের শঙ্কার মধ্যে রয়েছে দেশ ও জাতি। স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি অংশ ধ্বংস করে গেছে। দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির সর্বনাশ করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জাতীয় ঐক্য, সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারলে বিপদ কিন্তু পিছু ছাড়বে না। এ অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর হতে পারে আমাদের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের সার্বিক মুক্তির অন্যতম প্রেরণা। ৭ নভেম্বর শুধু একটি দিন নয়, দিবস নয়। ৭ নভেম্বর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিল। নতুন সত্তা পেয়েছিল। নতুন ইতিহাসের সূচনা হয়েছিল। সেই ইতিহাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর ২৪-এর ৫ আগস্ট আরেকটি বিপ্লব ও অভ্যুত্থান ঘটেছে। পরাজিত করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে। ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ফকরুল আলম, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স.ম আ. রহমান, রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, কে এম হুমায়ন কবির, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনসার আলী, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মো. জাহিদুল হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, আজিজা খানম এলিজা, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু,আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, নুর ইসলাম বাচ্চু, এম এ জলিল, নাসরিন হক শ্রাবনী, নিঘাত সীমা, কাওছারী জাহান মঞ্জু, লুৎফুন নাহার লাভলী, লুবনা ইয়াসমিন, ছাত্রদলের গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আলমগীর হোসেন তালুকদার প্রমূখ। আলোচনা শেষে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দিনের শুরুতে মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

।। নগরীতে বিএনপির বর্নাঢ্য র‌্যালি শুক্রবার।।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপির ৩দিনের কর্মসুচির দ্বিতীয় দিনে  (৮ নভেম্বর) শুক্রবার নগরীতে বর্ণাঢ্য রালী করবে বিএনপি। বেলা আড়াই টায় শিববাড়ি মোড়স্থ জিয়াহল চত্বর থেকে র‌্যালীটি শুরু হয়ে রয়েল মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র‌্যালীতে নেতৃত্ব দিবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য  গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। সভাপত্বি করবেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!