বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনা জেলা সমন্বয়কারী ও নগরিক নেতা এড. মো: বাবুল হাওলাদার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০০২ সালে আেইন করে পলিথিন বন্ধ করা হয়। এর কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবাও বিক্রি শুরু হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় খুলনার সর্বত্র কৃষি, পরিবেশ ও জনাসাধারণের শত্রু েএ পলিথিনের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০০২) এর ২৫ ধারায় বিধান মোতাবেক ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন, আমদানী ও বাজারজাতকরণের সাথে জড়িত ব্যক্তি ‘অনধিক ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থ দন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে’। বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে ‘অনধিক ৬ মাসের কারাদন্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন’।
তিনি আরও বলেন, দেশে সুনির্দিষ্ট আইন থাকা সত্বেও ক্ষতিকর পলিথিন বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা কর্তৃপক্ষ নিরব। অথচ এ পলিথিনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় চর্মরোগের এজেন্ট বলা হয়েছে। এর কারণে মাটি হারাচ্ছে উর্বরতা শক্তি। বাতাসে বিষ ছাড়াচ্ছে। ভরাট হচ্ছে খাল-বিল, শহরের ড্রেন ও দূষিত হচ্ছে পানি। পলিথিনের কারণে মানুষ ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির ঝুকি বাড়ছে। বন্ধ্যাত্বসহ মায়ের ভ্রুণ নষ্ট এবং কিডনী বিকল হওয়ার জন্য পলিথিন দায়ি। যা মানব সভ্যতার জন্য এটি রীতিমতো হুমকি। বিবৃতিতে তিনি এটি বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা কর্তৃপক্ষকে আইন প্রয়োগের আহবান জানান তিনি।
শনিবার (বাপা) খুলনার অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।