যশোরের চৌগাছা উপজেলার পলুয়া গ্রামে পশু চিকিৎসক টিটো হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের চাচা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা আছে কিনা তা আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দিয়েছেন চৌগাছা থানার ওসিকে।
মামলার আসামিরা হলো, নিতের স্ত্রী চিনতিয়া খাতুন, শ্যালক শাওন, শাশুড়ি শিল্পী খাতুন ও প্রতিবেশী রবিউল ইসলামের ছেলে রুবেল।
বাদীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঝিকরগাছার উত্তর গঙ্গাধরপুর গ্রামের কাজেম ডাক্তারের ছেলে টিটো চৌগাছার পলুয়া গ্রামে বাড়ি করে স্ত্রী-সস্তান নিয়ে বসবাস করতেন। টিটো পেশায় পশু চিকিৎসক হওয়ায় দিন রাতের অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে তার স্ত্রী চিনতিয়া খাতুন প্রতিবেশী রুবেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ৩১ আগস্ট সন্ধ্যায় টিটো বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে রুবেলের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন।
এ সময় রুবেল তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। বিষয়টি চিনতিয়ার পরিবারকে জানানো হয়। তারা এ বিষয়ে কোন সুবিচার না করে উল্টো টিটোকে হুমকি দেয়। চিনতিয়া ও রুবেল তাদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে টিটোকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে আসামি রুবেল ও চিনতিয়াসহ অন্যান্য আসামিরা টিটোকে ঘরের মধ্যে আটকে ফেলে। এসময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে টিটো নিজেকে রক্ষা করতে স্ত্রীর হাতে কামড় দেয়। এরপর তারা টিটোকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রেখে পলিয়ে যায়। বাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টিটোর মরদেহ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ১০দিন পর তার চাচা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড