যশোরের সীমান্ত উপজেলা চৌগাছার মুক্তদাহ গ্রামে ইসমত আরা নামে দুই সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১ জুলাই) পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ জানায়, পৌর এলাকার বিশ্বাসপাড়ার মশিয়ার রহমানের মেয়ে ইসমত আরার সাথে মুক্তদাহ গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মজনুর রহমান মজনুর ১১ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে বড় সন্তানের বয়স ৫ বছর ও ছোট সন্তানের বয়স ২ বছর।
শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধে করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ যশোর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই মাসুম রেজা জানান, ছোটখাট বিষয় নিয়ে বোনের শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মারপিট করতেন। মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন। এমনকি তার আপা মৃত্যুর আগে কয়েকবার জানিয়েছে, আমার যদি কিছু হয় তাহলে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি দায়ী থাকবে। ওরা আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন করে।
মাসুম রেজা আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মারপিটের পর শ্বাসরোাধে আপাকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখে। ঘটনার সাথে সাথে আমরা কোন খবর পাইনি। রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে খবর পাই।
তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে বোনের লাশ পড়ে ছিল। গলায় ও শরীরে বিভিন্ন স্হানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই ঘর থেকে রাত প্রায় ২ টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের ভাই সেলিম হোসেন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ওসি (তদন্ত) জিল্লাল হোসেন জানান, ইসমত আরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
খুলনা গেজেট/এসজেড