যশোরের চৌগাছায় আড়তের সার্টারের তালা ভেঙে দুই ব্যবসায়ীর ২২০ মন ধান, ২৫ মন পাট, ২৫ মন হলুদ ও ১৩ মন কলাই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই ব্যবসায়ীর প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভোররাতের কোন সময়ে শহরের চৌগাছা মহেশপুর সড়কের জেটিকেইউ দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন আড়ৎ দুটি থেকে এই চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ী দু’জন সকালে দোকানে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশকে জানায়।
উপজেলার স্বরূপদাহ গ্রামের দুই ব্যবসায়ী সফিয়ার রহমান ও মারুফুল ইসলাম মেল্টু জানান, তাঁরা পাশাপাশি দুটি দোকানে আড়ৎ ব্যবসা করেন। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যান। শুক্রবার সকালে এসে দেখেন তাঁদের দোকান দুটির সার্টার খোলা রয়েছে। মেঝেয় রাখা ধান ছড়ানো-ছিটানো রয়েছে। দোকানের সামনে ধান-পাট ওজন করার পাল্লা (কাটা) টাঙানো এবং কেজি-বাটখারা বাইরে রয়েছে। দোকানের মধ্যে বস্তায় ভরে রাখা কোন ধান, হলুদ, কলাই এবং বোঝা বেঁধে রাখা পাট নেই। তাঁরা জানান, দোকানের সামনের এ অবস্থা এবং ট্রাকের চাকার দাগ দেখে তারা মনে করছেন দোকানের সামনে ট্রাক রেখে তাতে করে মালামাল নিয়ে পালিয়েছে চোরেরা।
দোকানীরা জানান, চোরেরা এসময় শফিয়ারের দোকান থেকে ৫০ মন চিকন ধান, ২৫ মন পাট যার আনুমানিক মূল্য ১, ৫০, ০০০ টাকা ও ক্যাশ বক্সে থাকা নগদ ৫০০০ টাকা নিয়ে গেছে। একইভাবে মারুফুলের দোকান থেকে ১৭০ মন চিকন ধান, ২৫ মন কাচা হলুদ ও ১৩ মন মাসকলাই যার আনুমানিক মূল্য ২, ৩৪, ০০০ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে এসে দেখে মনে হয়েছে এই ধান, পাট, হলুদ ও কলাই চোরেরা ট্রাকে বোঝাই করে চৌগাছার দিক দিয়ে নিয়ে গেছে। তাঁরা জানান, ঘটনা দেখে চৌগাছা থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ব্যবসায়ী মারুফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এসেছিলো। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমি বিকেলে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করবো।
চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনা উদঘটনে গুরুত্বের সাথে পুলিশি তদন্ত চলছে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত (বিকাল চারটা) কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নি।