যশোরের চৌগাছায় করোনাকালে খোলা বাজারে চাল ও আটা ক্রয় করতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমনে আরোপিত বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার গত রোববার থেকে শুরু করেছে বিশেষ ওএমএস। চলবে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত। এরইমধ্যে চৌগাছা পৌরসভার ৫টি বিক্রয় কেন্দ্রে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রয় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান লিটন ও উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা পলাশ আহমেদ ৬নং ওয়ার্ডের মেসার্স মেহেদী হাসানের বিক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শ করেন। এসময় মেসার্স মেহেদী হাসানের সত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম, ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খোলা বাজারে বিক্রয় ডিলার মেসার্স মেহেদী হাসানের সত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই বিক্রয় কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। বিভিন্ন পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ সকাল থেকেই লাইনে দাড়িয়ে চাল-আটা ক্রয় করছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশরাফুজ্জামান লিটন বলেন, বিশেষ নির্দেশনা পেয়ে রোববার থেকেই পৌরসভার ৫টি পয়েন্টে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বিক্রয় কেন্দ্রগুলি থেকে আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন একজন ব্যক্তি ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে আটা ক্রয় করতে পারবেন। তিনি আরও জানান প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ৯শ কেজি চাল এবং ৬শ কেজি আটা নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করবেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি