যশোরের চৌগাছায় ৯ম শেণিতে পড়ুয়া প্রেমিক টগর হোসেন অবশেষে ৩০ জুন মারা গেছে। এরআগে প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস মীমের মৃত্যু হয়। গত ৮ জুন তারা একসাথে আগাছা নাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর তিন দিন পর ১০ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেমিকা মিমের মৃত্যু হয় ও ২০ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাায় মারা গেলো প্রেমিক টগর।
মীম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে যশোরের চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে মামা বাড়ি থেকে জগদীশপুর-মির্জাপুর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। প্রেমিক টগর জগদীশপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে। সেও একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
গ্রামবাসী সূত্র জানায়, জগদীপুর মির্জাপুর ইসমাইল হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ার সময় টগর প্রলোভন দেখিয়ে মীমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি টগরের পরিবার জানতে পেরে মীমকে নানাভাবে হুমকি দিতো। এ নিয়ে সালিশে টগরের পরিবার মীমের পিতাকে মারপিট করে। মীম ক্ষোভে টগরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে অভিমান করে গত ৮ জুন মীম ও টগর একসাথে কীটনাশক পান করে। গুরুতর অসুস্থ মীমকে প্রথমে চৌগাছা পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ জুন দুপুরে মীম মারা যায়। পরদিন ১১ জুন টগরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জুন দুপুরে তার মৃত্যু হয়। এরই মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো অপরিণত বয়স্ক কিশোর কিশোরীর প্রেম কাহিনী।