খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

চূড়ান্ত বরখাস্ত হলেন যশোর রুদ্রপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি সরকারকে এবার চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে দু’ শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান, দুদকের জাল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে উচ্চ আদালতে রিট ও নানা দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলা এবং ওই মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৬ জুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড। ২১ জুন বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং একজন শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দু’জন শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেন। ওই দু’ শিক্ষককে এমপিও ভুক্তির সময় দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা বিভাগসহ স্কুল পরিচালনা কমিটি। ওইসময় তার সহযোগী হিসেবে স্কুলের তৎকালীন সভাপতি ইব্রাহিমের নামও উঠে আসে ও বেরিয়ে আসে দুর্নীতির নানা তথ্য। জানাজানির পর মৃণাল কান্তির নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এ ঘটনায় স্কুলের সামনে মানববন্ধন হয়। এক পর্যায়ে স্কুল কমিটি তাকে শো’কজ করে। মৃণাল কান্তি ওই সময় শো’কজের মনগড়া জবাব দেন। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি স্কুল কমিটির দাতা সদস্য রুদ্রপুর গ্রামের লুৎফর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর ফসিয়ার রহমান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা উঠে আসে। এ মামলায় তিনি আদালতে হাজির হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। প্রধান শিক্ষক মৃণাল কান্তির বিরুদ্ধে স্কুলের চার লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরও একটি মামলা হয়। পিবিআই তদন্ত করে ওই মামলারও সত্যতা পায়। এরমধ্যে মৃণাল কান্তি দুদকের দু’টি ভুয়া চিঠি দিয়ে উচ্চ আদালতে রিট মামলা করে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশনা আনেন। পরে সেই চিঠিও জাল বলে প্রমাণিত হয়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষাবোর্ডের ৭৯তম আপিল এন্ড আর্বিট্রেশন কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!