আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে সাম্ভব্য প্রার্থীদের প্রচরণা ততই বাড়ছে। বসেই নেই বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়াম্যান প্রার্থীরা। এখানে তিনটি ইউনিয়নে প্রচার-প্রচারণায় তিন তরুণ প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। তারা তুলে ধরতে চাইছেন তারুণ্যের জয়গান। প্রবীন এবং নবীন ভোটারদের বিশ্লেষনে তরুণ এই প্রাথীদের অবস্থান অনেকটা এগিয়ে। নতুন ভোটারও চাইছেন তরুণ জনপ্রতিনিধিত্ব।
এই মুহুর্তে এ উপজেলায় তরুণ প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় যারা তুঙ্গে রয়েছেন তারা হলেন ৫নং চিতলমারী সদর ইউনিয়নে মোঃ রবিউল ইসলাম খান (রবি)। রবি চিতলমারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের সম্ভ্রান্ত খান পরিবারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রত্তন আলী খানের কনিষ্ঠ পুত্র ও চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খানের ছোট ভাই। সে চিতলমারী শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০০৯ সালে এইচএসসি পাশ করেন। শিক্ষা জীবন থেকেই রবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য।
৪নং শিবপুর ইউনিয়নে তরুণ প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় তুঙ্গে রয়েছেন মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ মুন্সি। শিবপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সি পরিবারের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মুন্সির কনিষ্ঠ পুত্র। বড় ভাই গোলাম মোস্তফা শিবপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান। রিয়াদ এলএলবি অধ্যায়নরত। চিতলমারী শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও ঢাকা সিটি ইউনির্ভাসিটি’র বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদের যুগ্ম-আহবায়কসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি চিতলমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ নং হিজলা ইউনিয়নে তরুণ প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় তুঙ্গে রয়েছেন মোঃ মেহেদী হাসান সবুজ মুন্সি। উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের কুড়ালতলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুন্সি পরিবারের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রহমত আলী মুন্সির জৈষ্ঠ পুত্র সবুজ মুন্সি। সে চিতলমারী শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজে থেকে ২০০৫ সালে এইচএসসি পাশ করেন। শিক্ষা জীবন থেকেই সবুজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্তমানে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সাথে কাজ করছেন।
তরুণ এ প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা সকলেই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিভাজনের রাজনীতি নয়। স্থানীয় ভাবে গুণগত পরিবর্তন আনাই তাদের উদ্দেশ্য। কারণ বিভাজন দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। এখন প্রয়োজন পরিবর্তন। তবে তা করতে গিয়ে তারা দলের নিয়ম-কানুনের বাইরে যেতে চান না। তারা জানিয়েছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তারা মনে করেন শিক্ষিত, মেধাবী ও যোগ্য তরুণদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের আরও পরিবর্তন আসতে পারে। সাধারণ মানুষ পেতে পারেন কাঙ্খিত সেবা।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন