আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে অভিযান শুরু করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ও ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনে অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিয়েই রেস্টুরেন্টসহ ১১টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে।
পাশাপাশি তিনটি ভবন মালিকদের বাণিজ্যিক ভবন থেকে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সরিয়ে নিতে পৃথক আরেকটি চিঠি দিয়েছে কেডিএ। চিঠিতে ৪৫ দিনের মধ্যে আবাসিক ভবন থেকে রেস্টুরেন্ট অপসারণ না করলে জরিমানা, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করারও হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
কেডিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শবনব সাবা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইসলাম সড়ক ও নিউ মার্কেটের আশপাশের ৪টি ভবনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি ভবনেরও ফায়ার সেফটি প্লান ছিলো না। অল্প কয়েকটি ফায়ার এক্সটিং গুইসার ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা কেউ রাখেনি। গুলোও কিভাবে চালাতে হয় তাও অনেকে জানেন না। জরুরী নির্গমন পথও ছিলো না কয়েকটি ভবনে। এজন্য ওই সব ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া আবাসিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩টি ভবনে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে। যা কেডিএর ইমরাত আইনের লংঘন। এ জন্য ওই সব ভবন মালিককে ৪৫ দিনের মধ্যে রেস্টুরেন্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে দেড় মাস পর অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্টগুলো সিলগালা করা হবে।
অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ, কেডিএর অথরাইজড অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান, ইমরাত পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, আবদুল হান্নান, হাসিব পিয়াসসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়