গরমের সময় ঘামের কারণে শরীরে দুর্গন্ধ বেশি হয়। যাদের অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই সমস্যায় আরো বেশি ভোগেন। শরীরের ত্বকে দুই ধরণের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থেকে ঘামের উৎপত্তি।
শরীর চর্চা বা পরিশ্রমের ফলে যে ঘাম উৎপন্ন হয় তা তৈরি করে একরিন গ্রন্থি। এই ঘামে দুর্গন্ধ নেই এবং তা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা করে।আরেকটি হল অ্যপোক্রিন গ্রন্থি। যার উপস্থিতি বগল ও গোপনাঙ্গের আশপাশে। যেখানে রয়েছে অবাঞ্ছিত লোম। এখান থেকে যে ঘাম উৎপত্তি হয় তাতে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন। যা দুর্গন্ধহীন হলেও ব্যাকটেরিয়ার কারণে এটি দুর্গন্ধে রূপান্তরিত হয়। খুব সামান্য এই ব্যাকটেরিয়ার মারাত্মক ক্ষমতা। যারা তাদের কাজে ঐ প্রোটিনটি ব্যবহার করে।
অনেক সময় বডি স্প্রে বা ডিওডরেন্ট ব্যবহার করলে এই ঘামের গন্ধ তো যায়ই না, বরং দুর্গন্ধ বাড়ে। এ ক্ষেত্রে ঘরোয়া তিনটি উপায়ে খুব সহজেই ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পারেন। বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে এই তিনটি উপাদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একনজরে দেখে নিতে পারেন।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগারে ব্যাকটেরিয়া দূর করার উপাদান রয়েছে। এটি ত্বকের পিএইচের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সামান্য আপেল সিডার ভিনেগার তুলায় নিয়ে বগলের নিচে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন গোসল করার আগে এই উপাদানটি বগলের নিচে ব্যবহার করুন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ঘাম দূর করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা ও পানি একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। বগলের নিচে এবং শরীরের যে অংশে ঘাম বেশি হয়, সেখানে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার গোসল করে ফেলুন।
লেবুর রস
লেবুর রসের এসিডিক উপাদান শরীরের ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি ঘামের জীবাণুও ধ্বংস করে। লেবুর রস সরাসরি বগলের নিচে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
খুলনা গেজেট/ এস আই