খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ মাঘ, ১৪৩১ | ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ইতালির রোম থেকে ছেড়ে আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, নিরাপদে অবতরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে
  জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
  উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ডে
নানা সংকটে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র

গড়ইখালীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে অর্ধ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা

শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা

তিন উপজেলার ২২ গ্রামের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চলছে কার্যক্রম। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে স্বাস্থ্য সেবা নিতে দানা বেঁধেছে নানা আশংকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকেন ইউনিয়নের ১৪ টিসহ পার্শ্ববর্তী দাকোপ ও কয়রা উপজেলার ২২ টি গ্রামের অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। দুরত্ব ও ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক বিবেচনায় তৃণমূলের জরুরী স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। তবে দীর্ঘ দিন যাবৎ সেখানে ভর করেছে চিকিৎসক সংকট থেকে শুরু করে মুল ভবনটি। দীর্ঘ দিনের পুরনো দ্বিতল ভবনের দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। খসে পড়ছে বিভিন্ন স্থানের পলেস্তরা। এক কথায় নানা সংকটের মুখে বাধ্য হয়েই স্বাস্থ্য সেবা পেতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষেরা ছুটছেন সেখানে। তবে পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ভগ্নদশায় এলাকাবাসীকে নতুন করে নানা আশংকা তৈরি করেছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ দিন সংষ্কারের অভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমন করুন অবস্থা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অন্যদিকে চিকিৎসকসহ নানা সংকটে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ কাংখিত স্বাস্থ্য সেবা পেতে বাধ্য হয়ে উপজেলাসহ জেলা সদরে ছুটছেন বলেও জানান তারা।

স্থানীয় শিক্ষক হাফিজুর রহমান জানান, ১৯২১ সালে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলার গড়ইখালীতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। পরে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে নিরাপত্তাজনিত কারণে তা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও শতবর্ষী পুরোনো ভবনটি অপসারণ না করায় পরিণত হয়েছে বন জঙ্গলে।

গড়ইখালীর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন দাকোপ উপজেলার গুনারী, কালাবগি, নলিয়ান, কামনেবাসিয়াসহ কয়রার হড্ডা, বানিয়া খালী, শুড়িখালী, হাতিয়ার ডাঙ্গা ও পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামসহ অন্তত ২২টি গ্রামের মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে দীর্ঘ দিন ধরে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন।

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার শিপন রায় বলেন, ‘এখানে একজন মেডিকেল অফিসার নিয়োগ থাকলেও তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে আছেন। তিনি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!