খুলনা সিটি কপোরেশন (কেসিসি) এলাকায় সড়কের পাশে বালু ব্যবসা অপ্রতিরোধ্য। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ। তবে অদৃশ্য কারণে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। মাঝে মাঝে কেসিসির পক্ষ থেতে অভিযান চালানো হলেও পরবতীতে ব্যবসার পরিসর আরো বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। ইদানিংকালে সড়ক, মহাসড়কের পাশে বালু বোঝাই ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখে ব্যবসা শুরু করেছে একটি চক্র। ফলে প্রতিনিয়ত দুঘটনাসহ ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
জানা যায়, নগরীর দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভোর থেকে এ ব্যবসা শুরু করে চক্রটি। ট্রাফিক পুলিশ সকালে ডিউটিতে আসার আগেই তারা ব্যবসা শেষ করে চলে যায়। তবে থানা পুলিশ বিষয়টি জানলেও তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় না। এদিকে ব্যবসায় স্থানীয় মহল জড়িত থাকায় প্রশাসনের নিরবতার অন্যতম কারণ ।
ট্রাফিক পুলিশ ও কেসিসির কর্মকর্তারা ট্রাকে বালুর ব্যবসার বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তারা জানান, যখন কেউ এ ধরণের ব্যবসা করে তখন তাদের অনুপস্থিতিতেই চক্রটি কাজে লাগায়। তবে তারা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার সহযোগিতা নিবেন বলে জানান।
নগরীর দৌলতপুর সেভ এন্ড সেফ, নতুন রাস্তা মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ মোড়সহ নগরীর একাধিক জায়গায় প্রতিদিন সড়কের পাশে বালু বোঝাই ট্রাকের ব্যবসা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাকগুলো রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এসব পয়েন্টে পৌঁছে যায়। এরপর দালালদের মাধ্যমে আসে গ্রাহকরা। ভোর থেকে ৮/৯টা পযন্ত চলে বিকিকিনি।
সূত্র জানায়, স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতাদের ছত্রছায়ায় চক্রটি সড়কের দুই পাশে লাইন দিয়ে বালু বোঝাই ট্রাক নিয়ে অবস্থান করে। এগুলো ৮ চাকা থেকে ১২ চাকার ট্রাক। যার ফলে অনেক সময় অতিরিক্ত লোড নিয়েও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে তারা এ ব্যবসা করছে। খোলা বালু বিক্রির ফলে সেটা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ দূষণসহ বাড়ছে বিভিন্ন রোগ।
এ বিষয়ে কেসিসির ষ্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, বিষয়টি আমরা জানি। সব থেকে বেশি ব্যবসা হয় নতুনরাস্তা মোড় এলাকায়। রাস্তার পাশে এভাবে বালু বোঝাই ট্রাকের ব্যবসা করা অবৈধ।
কেএমপির ট্রাফিক বিভাগের ডিসি রিয়াজ উদ্দীন বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা ডিউটিতে আসার আগেই তারা ব্যবসা শেষ করে চলে যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভূমিকা রাখতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
খুলনা গেজেট/নাফি