খুলনায় বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের করেছে বলে অভিযোগ দলটির। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) খুলনার বিভিন্ন থানায় ৮ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতে মহানগর বিএনপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে অপরএক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনায় পুলিশের বিশেষ অভিযানের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি ও পরিবার পরিজনের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণ-সমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি-বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। শনিবার খুলনার বিভিন্ন থানায় ৮ জন নেতাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে তারা। ঢাকায় কর্মসূচিতে কারা অংশ নেবেন তার এলাকাভিত্তিক তালিকা তৈরি করে চলছে পুলিশের এই অভিযান।
খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে নিজেদেরকে জনগনের মুখোমুখি দাঁড় না করাতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। দেশ আজ এক কঠিন সংকট সময় অতিক্রম করছে এবং জাতি এক মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত দাবি করে বিএনপি নেতারা বলেন, এই মুহুর্তে আপনাদের ভূমিকা কালের কষ্ঠিপাথরে বিচার করা হবে। প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে আপনাদের কর্তব্য হবে মুক্তিকামী ১৮ কোটি মানুষের বিপক্ষে না দাঁিড়য়ে, অবৈধ নিশিরাতের সরকারের অন্যায় হুকুম তামিল না করে, সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার খানজাহান আলী থানা পুলিশের অভিযানে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এমদাদুল হক, যুবদল নেতা মেহেদী হাসান বাপ্পী ও বিএনপি কর্মী আরেফিন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে হোসেন ও ইয়াসিনকে। লবনচরা থানা পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছেন ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ এইচ এম আসলাম। এছাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা রাশিকুল ইসলাম রাশু ও ১৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক শাহীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই।
এছাড়া বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অসংখ্য নেতাকর্মীর বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদের খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। এ সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলছে এবং ঢাকায় গণ-সমাবেশে যোগ না দিতে হুঁশিয়ার করছে। ঢাকায় গেলে পরবর্তীতে পরিণতি খারাপ হবে বলে জানিয়ে দিচ্ছে তারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোঃ রাশেদ, স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ।