খুলনায় পতিত জমিতে সরিষা আবাদ ব্যাপক বেড়েছে। বিগত বছরে ফলন ও দাম ভালো পাওয়ার পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনায় কৃষকদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে গতবছরের থেকে প্রায় দেড় গুন বেশি জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে। আমন কর্তন শেষ হলে আবাদকৃত জমির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে, সরিষা চাষে ১১ হাজার ৪০০ জনকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। প্রত্যেককে একবিঘা জমিতে চাষের জন্য এক কেজি বীজ ও প্রয়োজনীয় সার দেয়া হয়েছে। এবার ৯৭০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে ইতোমধ্যে ১১২৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এখনও চাষাবাদ চলছে। আবাদকৃত জমির পরিমাণ এখনও বাড়বে। গত বছর ৮০৫ হেক্টর জমিতে ৯১০ মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদন হয়।
রূপসা উপজেলার নৈহাটী গ্রামের আব্দুল হামিদ ভাসানী বলেন, আমন ধান ঘরে তোলার পরে জমি ফেলানো থাকতো। এবছর কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা পেয়ে এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি ফলন ভালো হবে।
কয়রার দেয়াড়া গ্রামের শামীমা খাতুন বলেন, গত বছর অন্যদের ভালো সরিষার ফলন দেখে এ বছর চাষাবাদের আগ্রহ হয়। তাই একজনের থেকে সরিষা বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা ৩ শতক জমিতে চাষ করেছি।
একই উপজেলার বেদকাশি এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, তেলের দাম অনেক বেড়েছে। গত বছর অল্প জমিতে লাগিয়েছিলাম। এবছর ২ বিঘা জমিতে লাগিয়েছি।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বটিয়াঘাটায় বিনা চাষে সরিষা আবাদ হয়। ধান কাটার পরে মাঠে বীজ বপন করা হয়। এখনও আমন ধান কাটতে বাদ থাকায় সরিষা চাষও বাদ রয়েছে। তবে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন জমিতে চাষ হবে বলে জানান তিনি।
রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ১৬০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। ২৩০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। গতবার ৭৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়। সরকার বিদেশ থেকে তেল আমদানী কমাতে তেল বীজ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। চাষিদেরকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গতবছর সরিষার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।