খুলনায় মাদক মামলায় এই প্রথম অভিনব রায় ঘোষণা করেছেন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট মো আজাহারুল ইসলাম। সাজার পরির্বতে আসামি সোহেল মোল্লাকে ৮টি শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তে পিতা-মাতাকে সেবা, ধূমপান না করা, বাড়ির অঙ্গিনায় সহ সড়কে গাছ লাগানো, মাদক আইনের বই পড়া সহ স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিতে সেবামূলক কাজ করতে হবে।
বিশ গ্রাম গাজাঁসহ গত বছর মার্চ মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিল ডুমুরিয়ার সোহেল মোল্লা। ঘটনা স্বীকারও করে সাক্ষ্য প্রদানের পর আজ রায় ঘোষণার দিন ছিল। আসামির বয়স কম এবং তাকে সংশোধনের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহারুল ইসলাম সাজার পরিবর্তে ৮টি শর্ত আরোপ করে এই শর্ত এক বছর প্রবেশনাল বছর মানার কথা বলেন। প্রবেশনাল সময় শর্ত মেনে চললে তার সাজা মওকুফ করা হবে।
শর্তগুলি হলো আসামি সোহেল মোল্লা ধূমপান করতে পারবে না। প্রতিমাসে একদিন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডুমুরিয়া স্বেচ্ছাশ্রম ভিত্তিতে সেবামূলক কাজ করবে। মাদক বিরোধী কার্যক্রমে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রবেশন কর্মকর্তা খুলনার নির্দেশক্রমে মাদক বিরোধী প্রচরনায় অংশ নিবে। মাদ্রক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত পড়তে হবে, এই বই পড়া শেষে প্রবেশনাল কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। আসামিকে নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় ও তার গ্রামের মধ্যে সরকারি রাস্তায় বনজ গাছ রোপন করবেন। একই সময় তার বৃদ্ধ পিতামাতাকে দেখাশুনা ভরণপোষণের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। প্রবেশনাল সময় সব শর্ত না মানলে ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই