মঙ্গলবার খুলনায় গণমিছিল করবে বিএনপি। বিকেল ৩টায় রেল স্টেশন এলাকায় জমায়েত হবেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে। সোমবার কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসে অনুষ্ঠিত এক প্রস্ততি সভা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক নেতাদের মুক্তির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপি দেশব্যাপী গণমিছিল ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সভা থেকে অভিযোগ করা হয়, ঢাকায় বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করতে খুলনার পুলিশ প্রশাসন এক সপ্তাহ আগে থেকে তৎপরতা শুরু করে। ৩ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকেল থেকে হঠাৎ করেই বিশেষ অভিযানের নামে খুলনার মহানগরী ও জেলার থানায় থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও কর্মস্থলে গণহারে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংসের কল্পিত অভিযোগ এনে গায়েবী মামলা দায়ের হয়। যে সব মামলায় কয়েক শত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। প্রায় ৮০ জন নেতাকর্মী কারাগারে রয়েছেন।
সভা থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং মহান বিজয় দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ ডিসেম্বর রাতে জমায়েত এবং দিবসের প্রথম প্রহরে গল্লামারি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন। ১৪ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল।
১৬ ডিসেম্বর ভোরে গল্লামারি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন। বিকেল ৩ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালী।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ প্রস্ততি সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, বেগ তানভিরুল আযম, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী প্রমুখ।