খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের সিংহেরচর বাজারে ড্রেন নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। এতে সরকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বদনাম হবে। চায়ের দোকানে একথাগুলো অন্যের সাথে বলায় ওয়ার্ড আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীরকে বেধড়ক পিটিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আকলিমা খাতুন তুলি, তার স্বামী সরদার নূরুজ্জামানসহ তাদের সঙ্গীরা। আজ রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে এঘটনা ঘটে। জখম আ’লীগ নেতা আলমগীর খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সরকারের থোক বরাদ্দে এলজিএসটি প্রকল্পের অর্থে রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের সিংহেরচর এলাকায় সরকারি ড্রেন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করছেন ৪নং ইউপি সদস্য আকলিয়া খাতুন তুলি। রবিবার সকাল ৯টার দিকে সিংহেরচর বাজারে বসে এসব বিষয়ে কথা বলছিলেন ৪নং ওয়ার্ড আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাজী আলমগীর। একথা অন্যের মুখে শুনে ওয়ার্ড মেম্বর আকলিমা খাতুন তুলি ও তার স্বামী সরদার নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে তাদের দুই ছেলে লিমন ও ইমন বেধড়ক মারপিট করেছে আ’লীগ নেতা আলমগীরকে। মৃত ভেবে ফেলে রেখে যাওয়ার পর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আ’লীগ নেতা মোঃ আলমগীর বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করছে এ কথাটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলাম। পাশের থেকে তুলি মেম্বরের পোষ্য এক সন্ত্রাসী শুনে তাকে বললে, সে ও তার স্বামী, দুই ছেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলতে অতর্কিত হামলা চালায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আকলিমা খাতুন তুলি। তিনি বলেন, “রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ওরা আমার কাছে চাঁদা চাইছিল। চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা হয়েছে। এখন সেই সব চাঁদাবাজরাই আমার সুনাম ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার দিচ্ছে।”
খুলনা গেজেট/এআইএন