‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় খুলনাতে রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপিত হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বেদীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
দিবসটি তাৎপর্য তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে জুম প্লাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ২০১০ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তখন অনেকেই এটাকে উপহাস করেছে। কিন্তু সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা। যার সুফল পাচ্ছে দেশের সকল জনগণ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা প্রদানের সময়, অর্থ ও যাতায়াত কমানো সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছি, আমাদেরকে এর জন্য উপযোগী মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, যারা ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক কাজী হুমায়ুন কবির।
এবিষয়ে আলোচনা করেন কুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন প্রমূখ।
স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান।
অনুষ্ঠান শেষে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রসঙ্গে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএ