খুলনা লবনচরা থানা এলাকায় গৃহবধু নুরনাহার হত্যা মামলার আসামী ফারুক মহাজন ও জামাল হাওলাদার আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সিআইডি পুলিশ আটক দু’জনকে আদালতে হাজির করলে তারা হত্যাকান্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা করেছে।
সিআইডি জানায়, পরিদর্শক মাহমুদা খাতুন গত ২৮ ডিসেম্বর আটক সন্দেহভাজন আসামী ফারুক জামানকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার ঘটনা র্বণনা দেয় । হত্যাকান্ডে তার সহযোগী ফারুক মহাজনকে ২৯ ডিসেম্বর খুলনার ৫ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক মহাজন হত্যাকান্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে জামাল ও ফারুকের দেখানো স্থান থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রশি ও বাইসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জামাল হাওলাদার ও নিহত গৃহবধু নুরনাহার পরষ্পরের পূর্ব পরিচিত ছিলো। আসামী জামাল হাওলাদাররে কাছ থেকে নুরনাহার বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা নিলেও জামালের সাথে ভাল ব্যবহার করতো না । একাধকিবার জামালকে হয়রাণী করে গৃহবধু নুরনাহার। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে জামাল তার দুলাভাই ফারুক মহাজনকে সাথে নিয়ে নুরনাহারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ফারুক মহাজন ৫ নং ঘাট এলাকায় সিমেন্টের বস্তা থকেে ব্যাগ বানানোর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। ফারুককে ৫ হাজার টাকা চুক্তিতে জামাল তাকে সহযোগী হিসেবে রাজি করায়। সে মোতাবেক গত ২২নভেম্বর জামাল বাইসাইকলে চালিয়ে ফারুকের বাড়িতে গিয়ে সিমেন্টের ব্যাগের মুখ সেলাই করার কাজে ব্যবহৃত সুতা সংগ্রহ করে। তারপর ফারুককে নিয়ে জামাল গল্লামারি মোড়ে যায়।সেখানে গিয়ে গৃহবধু নুরনাহারকে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩ জনে মিলে অটোরিক্সায় করে ছাচিবুনিয়ার মোড়ে যান।
পরে ৩ জনে মিলে হাটতে হাটতে ডসেটনিরি মাঠ বলে পরচিতি নির্জন এলাকায় নিয়ে জুস ও আপেল খান। জুসের মধ্যে জামাল ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়ায় নুরনাহার কিছুক্ষন পর অচেতন হয়ে পড়ে। তখন আসামী জামাল সাথে থাকা সুতা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। আসামী ফারুক নুরনাহার এর পা চেপে ধরে রাখে। এভাবে মৃত্যু নিশ্চিত করে দু’জন পায়ে হেটে রাস্তায় এসে অটোরিকশা যোগে শিববাড়ি মোড় এলাকায় আসে।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন