খুলনায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মহানগর যুবদল নেতাসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় খুমেকের ল্যাবে নতুন করে ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ ও করোনা হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, রবিবার এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বড় বয়রা আজিজের মোড়- হাজী ফয়েজ উদ্দিন ক্রস রোড এলাকার মোহাম্মদ শামছুল বারী’র ছেলে নগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত (৩৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার ২৪৬ উদয়ন রোডের আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে মাহবুবুর রহমান (৫২) এবং নগরীর নিরালা আ/এ রোড নং ১৭ এর মৃত এস এম সউদের ছেলে এস এম মওদুদ (৬০)।
তিনি আরও জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত শনিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া গোপালগঞ্জের মাহবুবুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ জুন থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
খুলনা মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর জানান, করোনা হাসপাতালে মারা যাওয়া ইয়াসির আরাফাত মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। এছাড়াও তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ১৮নং ওয়ার্ডের নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র-৪ এর সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, রবিবার খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিলো ২৪৫টি। এদের মধ্যে মোট ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে ৭৩ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। এছাড়াও সাতক্ষীরার ৬ জন, বাগেরহাটের ৫ জন, যশোর, গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরের একজন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা উষা জানান, খুলনা জেলা ও মহানগরীতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন।