খুলনার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত আগামী শিক্ষা বর্ষে লটারীর মাধ্যমে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকি কমিটির সভা বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য লটারীর মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ফিস দেড়শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে ৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লটারীতে ভর্তি প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি তদারকি ও পরিবেক্ষণের জন্য জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসককে আহবায়ক এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহবায়ক করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা অফিসাররা সদস্য থাকবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোঃ এনামুল হক হাওলাদার গত ১২ ডিসেম্বর ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনায় উল্লেখ করেছেন, ভর্তির নীতিমালা ব্যাত্যয় ঘটলে কোন অবস্থায় শূন্য আসনের বাইরে ভর্তি করা যাবে না। অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হলে মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
খুলনা নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রুমানা ইয়াসমিন এ প্রতিবেদককে জানান, বিশেষ করে হাজী শরিয়তুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খুলনা পাবলিক কলেজ, নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ, বিজেবি হাইস্কুল, রোটারী স্কুল, খালিশপুর কলেজিয়েট ও মহাসিন বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনেক চাপ থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানে আসনের চাইতে অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করে। সে কারণে নীতিমালা মেনে লটারীতে ভর্তির জন্য সভা আহবান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা সমূহের মধ্যে রয়েছে লটারী প্রক্রিয়াটি ফেসবুক লাইভে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা করা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি তদারকি কমিটি, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি ও শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, ভর্তির তারিখ তদারকি কমিটিকে অবহিত এবং লটারী মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কোন ক্রমেই যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।
খুলনা গেজেট/কেএম