সুন্দরবনের ক্ষতি এড়াতে শ্যালা নদী দিয়ে জয়মনিরগোল থেকে বগী পর্যন্ত সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধের আদেশ অব্যাহত রয়েছে। বিকল্প হিসেবে মোংলা-ঘষিয়াখালী রুট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পীর খানজাহান আলী (রহঃ) ব্রীজের ৪ ও ৫ নং পিলারের মধ্যদিয়ে স্রোতের গতিবিধি দেখে সতর্কতার সাথে চলতে হবে। খুলনায় ছয়টি রুটে শুধুমাত্র দিনে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আইডব্লিউটিএ পশ্চিম ব-দ্বীপ শাখার যুগ্ম পরিচালক মোঃ আশরাফ হোসেন নভেম্বর মাসে এ নৌ সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে ওটি সাউদার্ণ ষ্টার সেভেন নামক জ্বালানি তেল বোঝাই নৌযান ডুবে যায়। এতে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্রের ক্ষতি হয়। বনের ক্ষতি এড়াতে নৌ মন্ত্রণালয় ২০১৬ সালের ২১ মার্চ থেকে শ্যা লা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সে আদেশ অব্যাহত রাখা হয়েছে। দিনের বেলায় মোংলা থেকে একমুখী এবং ঘষিয়াখালী প্রান্ত থেকে একমুখী একদিন পর পর নৌযান চলতে পারবে।
শিপইয়ার্ডের বিপরীতে জাবুসায় এমভি বিবি নামক জাহাজ নওয়াপাড়ার কাছে নীল কুটির ভেঙে ভৈরব নদের গর্ভে নিমজ্জিত হয়ে নৌ পথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে চর জেগে উঠেছে।
নিরাপদ নৌ চলাচলের সুবিধার্থে ২৬ কি.মি. ঘষিয়াখালী-বাগেরহাট, ১৩০ কি.মি. খুলনা-মোল্লাহাট, ১২৮ কি.মি. খুলনা-কাউখালী, ৪০ কি.মি. কাউখালী-মোল্লাহাট, ৩০ কি.মি. খুলনা-নড়াইল, ১২২ কি.মি. চালনা-রায়মঙ্গল রুটে শুধুমাত্র দিনের বেলা নৌযান চলাচল করতে পারবে বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই