খুলনা, বাংলাদেশ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  গাজায় আরও ১৩৮ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

পূর্ণতা পেল খুমেকের লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে পূর্ণতা পেল খুলনা মেডিকেল কলেজের করোনা হাসপাতালের জন্য স্থাপিত লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক। বুধবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় স্পেক্ট্রা কোম্পানির ট্যাংকে অক্সিজেন রিফিল (পূর্ণকরণ) করা হয়। ফলে হাসপাতালে অক্সিজেন-সংকট ও রোগীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে। একই সঙ্গে চাহিদা কমবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরার অস্থায়ী হাসপাতাল থেকে স্পেক্ট্রা কোম্পানির এ ট্যাংক এনে খুমেক হাসপাতাল অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ফেলে রাখা হয়। এটি স্থাপনের জন্য এইচইডি থেকে ৯৭ লাখ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যেটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় গত মার্চে। পরে মন্ত্রণালয় থেকে আবারও সেটি পাঠানো হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

এভাবে কয়েক দফায় পত্র-চালাচালির পর শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে এটি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে গত মাসের প্রথম দিকে স্থাপন কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি ট্যাংক বসানোর পাশাপাশি পাইপলাইন সংযোগ দেওয়া হয়। তবে এখনো চলছে পার্শ্ববর্তী স্থানে ভ্যাকুম রুম স্থাপনের কাজ।

খুমেক হাসপাতাল এবং করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. দিলীপ কুমার কুন্ডু বলেন, নতুন এ অক্সিজেন লাইনের মাধ্যমে রোগীদের নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ফলে এখন আর সিলিন্ডার অক্সিজেনের খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। যেহেতু এ ট্যাংকে যে অক্সিজেন থাকে, তা লিকুইড ফর্মে থাকে, আর রোগীদের কাছে সরবরাহ করা হয় অক্সিজেন ফর্মে। অর্থাৎ এখানের এক লিটার লিকুইড অক্সিজেন মানে ৮৩৮ লিটার অক্সিজেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, স্পেক্ট্রা কোম্পানির এ ট্যাংক বসানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে। কেননা তার নির্দেশেই বসুন্ধরার অস্থায়ী হাসপাতাল থেকে এটিকে খুলনায় আনা হয়। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের তিনি ধন্যবাদ জানান।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, বুধবার দিবাগত সাড়ে ১২টায় স্পেক্ট্রা কোম্পানির ট্যাংকে অক্সিজেন রিফিল করা হয়। ফলে এ হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার করে দুটি ট্যাংক দিয়ে সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া কোনো একটি ট্যাংক কোনো কারণে বন্ধ হলেও অন্যটি দিয়ে বিকল্প হিসেবে চালানো যাবে। সুতরাং রোগীদের আর হয়তো অক্সিজেন সংকটে ভুগতে হবে না বলে তিনি আশাবাদী।

খুলনা গেজেট/ টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!