সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে নুতন মামলায় জড়ানোর ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে কৈখালী ইউনিয়নবাসী। সদ্যদায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারসহ নিরীহ দিনমজুর গ্রামবাসীকে হয়রানি বন্ধ ইউপি চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) বিকালে কৈখারীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা।
বিকাল ৪টায় ইউনিয়নের জয়াখালী রাস্তার উপরে শত শত নারী পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা টানা দুই মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তারের সময় সাদা পোশাকধারী পুলিশি আচরণকে ‘সন্ত্রাসী স্টাইল’ আখ্যা দিয়ে তাদের বিচার দাবি করেন।
চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানায়, গ্রেপ্তারতারের সময় বাঁধা দিতে যাওয়া নারী-পুরুষকে পিটিয়ে জখমের পর উল্টো পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তাদেরকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছে। এসময় তারা গ্রেপ্তারকালীন ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের আবেদন জানিয়ে বুধবারের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের মহাপরির্দশক ও সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এসময় ক্ষুব্ধ স্থানীয় শত শত নারী ও পুরুষের অভিযোগ ‘জনপ্রিয়তা’ রহিম চেয়ারম্যানের জন্য ‘কাল’ হয়েছে। নেপথ্য কুশীলব হিসেবে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহ আলম পুলিশকে ব্যবহার করে রহিমকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারি নারী ও পুরুষ জানান, আব্দুর রহিম এলাকায় জনপ্রিয় একজন ব্যক্তি। তার কারণে বিগত সময়ে রেজাউল করিম চেয়ারম্যান হতে পারেনি। রহিমকে জনবিচ্ছিন্ন করতে একের পর এক অর্ধশত মামলায় তাকে আসামি করেছে। এমনকি নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে রহিমকে হত্যা চেষ্টায় রাতে অজ্ঞাত বন্ধুকধারী দিয়ে হামলা করিয়েছে। তাদের অভিযোগ এবারের নির্বাচনে দুইশ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় মানতে না পারা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহ আলম রহিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারই উচ্চ পর্যায়ের লবিং এর কারণে পুলিশ আব্দুর রহিমের উপর খড়গহস্ত হয়েছে। তারা অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিমের মাধ্যমে সমগ্র ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। তারা অবিলম্বে কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম এর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।