আমন মৌসুমে নতুন জাতের ব্রি-ধান ৮৭ আবাদে যশোরের কেশবপুরে চাষীদের আশার আলো দেখিয়েছে। উচ্চ ফলনশীল, ভাত সুস্বাদু ও প্রোটিন সমৃদ্ধ নতুন এ জাতের ধানের উদ্ভাবন বাংলাদেশে খাদ্যের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস দাবি করেছে। যা আমন মৌসুমে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বায়সা গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। রোববার বিকেলে উপজেলার বায়সা মাঠে এ জাতের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
দেশে দিন দিন খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমন মৌসুমে ব্রি-ধান- ১১ এরপর স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল নতুন কোন ধান দীর্ঘদিনে উদ্ভাবন হয়নি। এ কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবন করেন ব্রি-ধান ৮৭। কেশবপুরের বীজ উৎপাদনকারী কৃষক বায়সা গ্রামের রেজাউল ইসলাম চলতি আমন মৌসুমে খামারে পরীক্ষামূলকভাবে এ ধানের আবাদ করেন।
চাষী রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে নতুন এ জাতের ধানের আবাদ করে ১২৫-১২৭ দিনে ২৮ মন ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। নিয়মিত সেচ, পরিচর্যা ও সুষম সার ব্যবহারে এ ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ উপলক্ষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে তারই জমির পাশে এ ধানের নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা। অন্যদের মধ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা নাছিরউদ্দীন, নাজমুল ইসলাম, চাষী নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, এ জাতের গাছের কান্ড শক্ত তাই গাছ লম্বা হলেও ঢলে পড়ে না। পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২২ সেন্টিমিটার, দানা লম্বা ও চিকন, এ জাতের জীবনকাল ১২৭ দিন। ফলনও আমন মৌসুমের অন্য জাতের চেয়ে বেশী। তার দপ্তরের উদ্যোগে ওই মাঠে ১৫ জন কৃষকের ১৫ বিঘা জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ ধান আবাদ করলে কৃষক লাভবান হবেন।
খুলনা গেজেট/এনএম