খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

কেশবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর প্রধানসহ আটক ২

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজী, নারী নির্যাতসহ ১০ মামলার আসামী জামালসহ তার সহযোগী শামীমকে আটক করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে জামাল বাহিনী এসব কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে। জামাল ও শামীম আটক হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কেশবপুর বাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

পুলিশ জানায়, গত ০৪ সেপ্টেম্বর পৌর শহরের খতিয়াখালি এলাকার মৃত নন্দ দাসের ছেলে প্রশংকর দাস পিকের কাছে চাঁদা দাবি করে জামাল বাহিনীর সদস্যরা। চাঁদার টাকা না দেয়াই প্রশংকর দাস পিকেকে বেদম মারপিট করে জামালের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা হয়, যার নং-১০, তাং-০৬ সেপ্টেম্বর’২২।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর ) রাতে অভিযান চালিয়ে কেশবপুর পৌর সদরের মধ্যকুল গ্রামের গণি শেখের ছেলে সন্ত্রাসী জামাল বাহিনীর প্রধান জামাল ও একই গ্রামের মৃত সিরাজুল খানের ছেলে শামীমকে (২৮) শহরের পুরাতন গো-হাটার সামনে থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী, অস্ত্রবাজী, ছিনতাই, নারী নির্যাতনের অসখ্য অভিযোগসহ ১০টি মামলা রয়েছে। তারা প্রকাশ্যে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসলেও ওদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। সূত্র জানায়, গত ৫/৬ বছর ধরে জামাল বাহিনীর অত্যাচারে কেশবপুর বাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত শহরসহ প্রতন্ত অঞ্চলে চাঁদাবাজীসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপশি প্রকাশ্যে মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে থাকে।

কেশবপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীনের নেতৃত্বে পুলিশ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামালসহ ২জনকে আটক করে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, জামাল ও শামীমকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত জামাল ও শামীমকে চাঁদাবাজী মামলায় আটক করা হয়। যার মামলা নং- ১০, তাং- ০৬/০৯/২২ ইং । এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও ৯টি মামলা রয়েছে। আজ বুধবার এই দুইজনকে আদালতে সোপর্দ্দ করা হবে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!