খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়িগেট কুয়েট রোড হতে কেডিএ বাইপাস পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কটির গুরুত্ব বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সড়কটিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গভঃ ল্যাবরেটরি হাইস্কুলসহ আরও ৫ টি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে শত শত যানবাহন, স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, ৫ টি সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক, প্রশিক্ষণার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ পথচারী চলাচল করে থাকে। শহরের ব্যস্ততা এড়াতে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন এবং ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনগুলো সড়কটি দিয়ে চলাচল করে থাকে। সড়কটির গভঃ ল্যাবরেটরী হাইস্কুলের সামনে থেকে ভাঙ্গাচোরা শুরু হয়ে তেলিগাতী পাঁকারমাথা হতে কেডিএ বাইপাস পর্যন্ত এটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, ইতিপূর্বে সড়কটির শেষ গন্তব্য ছিল তেলিগাতী পাঁকারমাথা। ২০১০ সালে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) শহরে যানবাহনের চাপ এড়াতে তেলিগাতী পাঁকারমাথা হতে খুলনা মংলা হাইওয় কেডিএ বাইপাস পর্যন্ত সোয়া ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩০ ফুট চওড়া এ সড়কটি নির্মাণ করে। নির্মাণের ১ বছর পর কেডিএ সড়কটি’র রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র কাছে হস্তান্তর করে। নির্মাণের পর থেকে অদ্যাবধি সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা এর কোন সংস্কার কাজ করানো হয়নি। দীর্ঘ ১ যুগ সড়কটির কোন সংস্কার কাজ না হওয়ায় এটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সরকটি দিয়ে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে এটির পুরো অংশই ভেঙ্গে চুরে গেছে, মাঝখানে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। প্রাইশঃ দুর্ঘটনা ঘটছে। যানবাহন চালকদের দুর্ভোগের সাথে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে।
প্রতি বর্ষা মৌসুমে যানবাহন চালক এবং পথচারীদের দুর্ভোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সড়কটির পাশ দিয়ে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখানের গর্ত গুলিতে পানি জমে কর্দমাক্ত পরিবেশ বিরাজ করে। ফলশ্রুতিতে যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করে।
বর্তমানে সড়কটি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সড়কটি দ্রুতই সংস্কার করা হবে বলে এ প্রতিবেদককে জানালেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু তারেক সাইফুল কামাল। তিনি বলেন, সড়কটি আমরা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। যেহেতু রাস্তাটি অনেক চওড়া এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় এক কিলোমিটারের মতো সেহেতু রাস্তাটি করতে বেশ টাকার প্রয়োজন। ২ কোটি থেকে সোয়া ২ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যে আমরা এই প্রাক্কলন(প্রস্তাবনাটি) অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই এটার অনুমোদন পাব।