কিছু কিছু কষ্ট মিশে যায় সমুদ্র সফেন ঢেউয়ে
ভিজিয়ে দেয়, আছড়ে পড়ে তীরে;
কিছু কিছু স্মৃতিমাল্য মনোসিন্ধুকের সুগভীরে
সংগোপনে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে দেয়া;
কত অভিমানের নেই কোন ভাষা
জমে থাকে কঠিন শিলাখণ্ডের মতো-
চৌকাঠে, কামরাতে কিংবা দেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে;
যদিও একটুখানি উষ্ণতায় বরফ গলে যায়
কিভাবে তরল হতে হয় শিলাখণ্ড তা জানে না।
মনোমন্দিরের প্রাঙ্গণে শোভিত ফুলের বাগান
সেখানে হানা দেয় ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া
অবিরত পাপড়ি ঝরে, ঢলে পড়ে গাছেরা
লুটিয়ে পড়ে মৃত্তিকার উপর;
সেখানেই থেমে যায় পৃথিবীর মজনুদের মনোবীণা
ধূসর মেঘ জমে হৃদয়াকাশে;
সেখানে জেগে ওঠে নারীর মতো অবয়ব
রঙে দোলে কপালের টিপ
নোলকের ছায়া নড়ে বাতাসে
বাতায়নের পর্দাতে ভেসে ওঠে-
নারীর ঠোঁটের মতো হাসি
ঘুঙুরের উচ্চণ্ড নৃত্যরত ছোবলে গোখুরার বিষ দাঁত
কেড়ে নেয় অনুবল, স্পৃহা যতকিছু;
তারপর ছেড়ে দেয় ব্যবহৃত পোশাকে
বয়ে দেয় কোমল হাসির ফোয়ারা-
খোলামেলা অন্য কোন উঠোনে;
অনুপম সর্বনাশে ঘুণ ধরে চৌকাঠে
ধ্বসে পড়ে মনোমাকাম।
পরিপাটি বহিরাবরণ, মুখাবয়বও কঠিন
পুরুষের চোখে নেই জল-
বুকের কন্দরে বেদনার হিমালয়, সাত সমুদ্রের জল
ব্যথা পায় ঘরে-বাইরে, ঘাটে-মাঠে-তীরে-বন্দরে
পুরুষেরা কাঁদে না, দুঃখ রাখে গভীর অন্তরে
যার কোন নেই তল;
একটুখানি উষ্ণতায় যদিও বরফ গলে যায়
কিভাবে তরল হতে হয় শিলাখণ্ড তা জানে না।