মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুরুটা হয়েছে হতাশাজনক। তবে লিগ ওয়ানে ঠিকই জয়ের ধারা ধরে রেখেছে পিএসজি। দিজোঁর বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ, আধিপত্য ধরে রেখে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে টমাস টুখেলের দল।
ঘরের মাঠে শনিবার রাতে লিগ ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। মোইজে কিনের জোড়া গোলের পর শেষ দিকে দুই গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হারা পিএসজি। বাঁ দিক থেকে ডাচ ডিফেন্ডারের মিচেল বাকারের ক্রস ছয় গজে বক্সে পেয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলটি করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড কিন।
অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; কিন্তু পাবলো সারাবিয়ার ক্রসে নেইমারের নেওয়া হেড পোস্টে বাধা পায়।
২৩তম মিনিটে কিনের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নেইমার। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এক জনকে কাটিয়ে পাস দেন সতীর্থকে। গোলরক্ষক এগিয়ে গিয়ে চেষ্টা করেও পারেননি বল আটকাতে, অনায়াসে ফাঁকা জালে বল পাঠান মৌসুমের শুরুতে ধারে পিএসজিতে যোগ দেওয়া ২০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
পয়েন্ট তালিকার তলানির দলটির রক্ষণে দ্বিতীয়ার্ধেও চাপ ধরে রাখে পিএসজি; কিন্তু আর মিলছিল না গোলের দেখা। অবশেষে ৮২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এমবাপে। নেইমারের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে একজনের বাধা এড়িয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
ছয় মিনিট পর স্কোরলাইন ৪-০ করেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি এই ফুটবলার। এই গোলেও অবদান ছিল নেইমারের। নেইমারের পাস পেয়ে পাবলো সারাবিয়া খুঁজে নেন এমবাপেকে। আর ডান পায়ের শটে বল লক্ষ্যে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
আসরের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর এই নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ জিতল পিএসজি। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা লিল ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে।
খুলনা গেজেট/এএমআর