সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আব্দুল খালেক ও চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল কর্তৃক গ্রাম পুলিশদের দিয়ে অবৈধ ভাবে ভুমিহীন বিধবা জাহানারা খাতুনকে মারপিট, বাড়িঘর ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামাবসি। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে কালিগঞ্জের বারদহা ইউছুফপুর গ্রামবাসি ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
মাবববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, চাম্পাফুল ইউপি ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজী, আশরাফ আলী, জাহানারা খাতুন, আবুল হোসেন প্রমুখ। মানববন্ধনে এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন। মাানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন ও স্মারলিপিতে বক্তারা বলেন, আমি ২০/২৫ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে বৃদ্ধা মাতা ও দুই সন্তান নিয়ে কালিগঞ্জের বারদহা এলাকায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি। এক মাত্র ছেলে আবু সাদেক ও একমাত্র মেয়ে আফরোজাকে নিয়েই আমার সংসার। দ্বীন মজুরী করেই সংসার চলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। সম্প্রতি পুত্র সন্তানের বিয়ে দেওয়ার জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করতে গেলে নজর পড়ে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের। তারা চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামকে দিয়ে উক্ত ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন।
স্মারলিপিতে আরো বলা হয়, এক পর্যায় গত ৫ আগস্ট ঘরের কাজ করার সময় প্রতিবেশি রেজাউল সরদার, উজ্জল, রাজু , মারুফা বেগম, রোকেয়া বেগম ও রুপা খাতুনসহ অন্যরা তার পরিবারের উপর হামলা ও মারপিট করে। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশি তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলেও চেয়ারম্যানের কারণে মামলা নেয়নি। এরপর ফের ঘরের কাজ শুরু করলে তারা পানি উন্নয়ন বোডের এসওকে জানায় এবং চেয়ারম্যানের নির্দেশে দিন রাত সেখানে দফাদার ও চৌকিদারসহ অন্যান্য লোকজন বসিয়ে রাখে। গত ৩১ আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এসও আব্দুল খালেকের নির্দেশে তারই সহকারি জয়ন্ত দাঁড়িয়ে থেকে চাম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের সন্ত্রাসীরা বাহিনী ও স্থানীয় প্রতিপক্ষরা নির্মিত আংশিক পাকা ঘর নিমিষেই ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। আমার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে নির্মিত শেষ সম্বলটুকু লুটপাট হলেও কেউ কথা বলার সাহস রাখেনি। এছাড়া এসও খালেক ও জয়ন্ত দুইজনে একলক্ষ টাকা চেয়েছিল। টাকা দিলে তারা আর এখানে আসবো না। আমি টাকা দিতে না পারায় তারা আমার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চৌকিদার বাহিনী দিয়ে বালাপোতা বাবার ধাম মন্দিরে জলঢালা বন্ধসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুজা বন্ধ করে দেয়। এবিষয়টি নিষ্পত্তির দাবিতে তিনি স্থানীয় এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই