হাসপাতালের সামনে পুকুর পাড় এলাকা পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতলসহ ময়লা আবর্জনায় ঘেরা। অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি ও ক্লিনিকগুলো তাদের পরিত্যক্ত ইনজেকশন, ব্যবহৃত গজ কাপড়সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা হাসপাতাল চত্বরে ফেলে যাচ্ছে।
সীমানা প্রাচীরের চারপাশে পচা পানিতে জমে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। ভনভন করছে মশা-মাছি সেই সাথে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ভবনের আনাচে-কানাচে পড়ে রয়েছে মাদকসেবীদের আড্ডার আলামত। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র।
কমপ্লেক্সের চারদিকে জমে থাকা পানি যেন মশা-মাছির অভয়ারণ্য। হাসপাতালের সামনে পুকুর পাড় এলাকা পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতলসহ ময়লা আবর্জনায় ঘেরা। উপজেলার তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে এখানেই। অন্যদিকে হাসপাতালের সামনে গড়ে ওঠা ফার্মেসি ও ক্লিনিকগুলো তাদের পরিত্যক্ত ইনজেকশন, ব্যবহৃত গজ কাপড়সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা হাসপাতাল চত্বরের এখানে সেখানে ফেলে যাচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার চাকলা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আজহারুল গাজী বলেন, হাসপাতালের চারপাশে যে পরিমান ময়লা তাতে মানুষ সুস্থ্য হবে কি? রোগ আরও বাড়বে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে এসব পড়েনা, দুর্গন্ধ তাদের নাকে যায়না। কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও চারিপাশে যে বেহাল দশা তা সাধারণ মানুষকে আরও অসুস্থ করে ফেলবে। সেইসাথে পার্শ্ববর্তী ফার্মেসী গুলোও হাসপাতালের চারপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিন থেকে পানি জমে রয়েছে। জায়গাটা অনেক নিচু। পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে মাটি ভরাটের জন্য অনেক বার বললেও এর কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পানিতে তলিয়ে থাকে হাসপাতালে চারপাশ।
ময়লা আবর্জনার বিষটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করার ফলে এ দশা। মাটি ভরাটের মাধ্যমে ময়লা পানির এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙ্গিনা ইতিমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে। হাসপাতালের নিচু জায়গা ভরাটের জন্য প্রজেক্ট বরাদ্দ পেলে সুব্যবস্থা করা হবে। ময়লা পরিস্কারের বিষয়ে যানতে চাইলে তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার কথা, কিন্তু তারা যেখানে ইচ্ছা সেখানে ময়লা ফেলেন। যেটি পরিষ্কার করতে পরিচ্ছন্নকর্মীর পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে যাতে হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়। সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হাসপাতালের সামনে যারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই