করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ধারাবাহিক লকডাউনে পোল্ট্রি শিল্পে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় উৎপাদন-সরবরাহে খামারী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৭.৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।
সমিতির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুরগীর ডিম, ব্রয়লার-সোনালী-ককের মাংসের বাজারমূল্য কম; পক্ষান্তরে খাবার ও ওষুধের আকাশচুম্বী মূল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বাড়লেও বাড়েনি খামারীর পাইকারী বিক্রয় মূল্য। এতে প্রান্তিক খামারীদের ব্যবসা-বাণিজ্য অচল হয়ে পড়েছে। ব্যাংক ও সমিতির ঋণে জর্জরিত হয়ে অনেকে পেশা ছাড়ছেন। ক্ষুদ্র-মাঝারী খামারীরা ডিম-মাংস উৎপাদন করে বাজারমূল্য না পাওয়ায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা ও লকডাউনের ক্ষতি কাটাতে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্ভাবনাময় বিকশিত পোল্ট্রি শিল্প গরীব মানুষের আমিষের যোগানদাতা। কিন্তু সুষ্ঠু নীতিমালা, বাজার ব্যবস্থাপনা ও তদারকি না থাকায় দেশী-বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির সাথে বারংবার হেরে যাচ্ছেন ক্ষুদ্র খামারীরা। বছরাধিক সময় লকডাউনে খামারী ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। তাদের শিল্পটিকে বাঁচাতে জরুরীভাবে প্রণোদনা-পুনর্বাসন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বি.পি.আই.এ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি : খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন, সমিতির সভাপতি মাওলানা ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহ, কেন্দ্রিয় প্রচার-প্রকাশনা পরিচালক, খুলনার মহাসচিব এস. এম. সোহরাব হোসেন, ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মোঃ ইকবাল, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ বেলাল হোসেন, প্রফুল্ল কুমার রায়, গোলাম সরোয়ার পিণ্টু, মোঃ জাফর, এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান, ইলিয়াস চৌধুরী, শেখ রেজানুল ইসলাম, আলমগীর খান, তরিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মামুনুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আরিফুর রহমান বাবু, এস এম হাফিজুর রহমান লিপু, তপন পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মোঃ হেলালুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম, দপ্তর সম্পাদক শামসুর রহমান বাবুল, মহিলা সম্পাদক এড. শাহরিয়া মোর্শেদা আহমেদ শম্পা, সঞ্চয় ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, নির্বাহী সদস্য শাহ জাফর মামুদ মেহেতা, মোঃ সালাহ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল আহাদ, শ্যামল বিশ্বাস, ইনসান আলী, মোঃ মাহবুবুর রহমান মিঠু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই