কপিলমুনিতে একই রাতে ইউনিলিভার কোম্পানির পরিবেশকের অফিসসহ ৫ জায়গায় চুরি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কপিলমুনি সদরের ৫ টি জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, কপিলমুনি সদরের সাবেক গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে অবস্থিত দ্বিতল ভবনের নীচ তলায় ইউনিলিভার কোম্পানির পরিবেশক মেসার্স হাসান ব্রাদার্স এর অফিস। মঙ্গলবার গভীর রাতের সংঘবদ্ধ চোরেরা অফিসের প্রথম গেটের তালা ভেঙে, দ্বিতীয় গেটের তালা ও গ্রীল কেটে অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর ৩৫ জন সেলস্ ম্যানের ৩৫ টি ক্যাশ ড্র’র একে একে ভেঙ্গে ফেলে। সেখানে টাকা না পেয়ে অফিস ম্যানেজার আক্তারুজ্জামানের ক্যাশ ড্র’র ভেঙে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে অফিসের সিসি ক্যামেরায় একজন উজ্জ্বল ফর্সা, মুখে দাঁড়ি সুদর্শন যুবককে ড্র’র ভাংগতে ও টাকা নেওয়ার দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তার গায়ে একটি ডোরাকাটা টি শার্ট পরা দেখা যায়। এর আগে চোরেরা স্থানীয় ভদ্র অটো রাইচ মিলের কাঠের দরজা ভেঙ্গে মিলের ভিতর প্রবেশ করে কাঁতারি ও একটি সেলাইরেন্স সহ ক্যাশ ড্র’র ভেঙে ৬২৫ টাকা নিয়ে যায়। মিলের পাশেই অবস্থিত মায়ের আশির্বাদ বানিজ্য ভান্ডারে টিনের চালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ক্যাশ ড্র’র ভেঙে ৩ হাজার টাকা নেয় তারা।
এছাড়া বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত রফিকুল বিশ্বাসের বসতঘরের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ড্রেসিং টেবিলের ড্র’র ভেঙে রাখা স্বর্ণের চেইন, একজোড়া কানের দুল নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এ সময় রফিকুল মৎস্য ঘেরে ও তার স্ত্রী পিত্রালয়ে গিয়েছিল বলে জানায় রফিকুল। একইভাবে কাঁকড়া ব্যবসায়ী সিরাজুলের ক্যাশ ড্র’র ভেঙে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। ধারণা করা হচ্ছে ভদ্র অটো রাইচ মিল থেকে নেয়া কাতারি ও সেলাইরেন্স এ সব চুরির কাজে ব্যবহার করেছে চোরেরা। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ইউনিলিভার অফিসে রাত ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ওই চোর চুরির কাজ সম্পাদন করে।
এ বিষয়ে থানা ওসি এজাজ শফি জানান, চুরির এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে এবং চোর যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম