এশিয়া কাপের দল একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে আছে। ওপেনিং ও সাত নম্বর পজিশনেও একাধিক বিকল্প রাখা হয়েছে। এর পরও দল দিতে দেরি হওয়ার কারণ অধিনায়ক নির্বাচন।
সাকিব আল হাসান অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হলেও কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আলোচনা করার কথা বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের সঙ্গে। সে আনুষ্ঠানিকতাটুকু পরে হলেও সমস্যা নেই। কারণ বোর্ড সভাপতির নির্দেশনা পেয়ে জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন দল নির্বাচন ইস্যুতে। বিষয়গুলো আনুষ্ঠানিক হতে পারে কালই।
বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে অধিনায়ক ও এশিয়া কাপের দল অনুমোদন দেবেন বিসিবি সভাপতি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রথম থেকে বলছেন, এশিয়া কাপের দল নিয়েই বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। সে কারণে পুলটা একটু বড় রাখা। ২০ থেকে ২২ জনকে পুলে রাখা হলেও ১৫ জন যাবেন এশিয়া কাপে। চোটজনিত সমস্যার কারণে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হলে পুল থেকে নেওয়া হবে।
এ ছাড়া এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখে বিশ্বকাপের স্কোয়াড বেছে নেবেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোমরের ব্যথার কারণে এশিয়া কাপ খেলছেন না তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরবেন তিনি। বাঁহাতি এ ওপেনার ফিরলে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়তে হবে একজনকে।
তবে এ মুহূর্তে তামিমের না থাকা নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে। ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভালো খেলায় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে পুলে রাখা হয়েছে। ওপেনার তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়কে ওপেনিংয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। লিটন কুমার দাসের জুটিতে ভাবা হচ্ছে তানজিদকে। ওপেনিংয়ে বিকল্প ব্যাটারও থাকবে একজন।
সাত নম্বর পজিশনের জন্য লড়াই চলছে সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদীর। জাতীয় নির্বাচক প্যানেলের পছন্দ শেখ মেহেদীকে। ইমার্জিং এশিয়া কাপে বোলিং, ব্যাটিং দুটোই ভালো করেছেন তিনি। যদিও প্রধান কোচ চন্ডিকার পছন্দ সৌম্যকে। ইমার্জিং এশিয়া কাপে খুব একটা খারাপ খেলেননি তিনি।
এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপ দলে পাঁচজন পেসার থাকবেন তা নিশ্চিত। বাকি ১০ জনের সাতজন ব্যাটার। একজন নিয়মিত স্পিনার নেওয়া হলে বাকি দু’জন বিকল্প ব্যাটার। লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ আবশ্যিক পছন্দ।
দ্বিতীয় ওপেনার যোগ করা হলে সাতজনের তালিকা চূড়ান্ত হয়। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন বিকল্প ওপেনার, একজন স্পিনার ও সাত নম্বরে শেখ মেহেদীকে নিলে সৌম্যকে রাখতে হবে অতিরিক্ত তালিকায়। লোয়ার মিডলঅর্ডারের জন্য শামীম হোসেন পাটোয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এই একটি জায়গা নিয়েই যত দ্বিধাদ্বন্দ্ব নির্বাচকদের। এ কারণে অধিনায়কের জন্য অপেক্ষা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুদের।
এর বাইরেও কয়েকজন ক্রিকেটার মিডিয়ার আলোচনায় রয়েছেন। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাদের অন্যতম। বাস্তবতা হলো মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকলেও কোচ, সম্ভাব্য অধিনায়ক ও নির্বাচক প্যানেলের খাতায় নেই তারা।
খুলনা গেজেট/এনএম