চলতি মাসের ৩০ আগস্ট থেকে মাঠে গড়াবে এবারের এশিয়া কাপের আসর। অবশ্য আসন্ন এই আসরকে সামনে রেখে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘোষিত ১৭ সদস্যের দলে বড় চমক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বাদ পড়া।
এবারের এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটে সবশেষ খেলা হয়েছিল ২০১৮ সালে। সেবার রানারআপ হিসেবে টুর্নামেন্ট শেষ করে মাশরাফি বিন মর্তুজার বাংলাদেশ দল। একদিনের ফরম্যাট বলে এবারেও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েই এশিয়া কাপে যাবে টাইগাররা।
ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে আরও একবার বোলিং ইউনিটের দিকে বাড়তি নজর থাকবে বাংলাদেশ ভক্তদের। এর আগেও একাধিকবার লো স্কোরিং ম্যাচে দলের জয় এনে দিয়েছিলেন বোলাররা।
তবে এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার কে! এমনি একটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক একটু। দেখা যায় তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন সাবেক তারকা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের হয়ে ১৮ ম্যাচ এশিয়া কাপ খেলে ২২ উইকেট শিকার করে এখন পর্যন্ত সবার উপরে এই স্পিনার।
২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সেরা সাফল্য ২০১২ এর রানারআপ হওয়া। বর্তমানে নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করা এই ক্রিকেটারের এশিয়া কাপের গড় আর ইকোনমি রেটও বেশ চোখে পড়ার মতোই।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। বর্তমান টাইগার অধিনায়ক ১৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ১৯ উইকেট শিকার করেছেন। ২০১০ থেকে এখন পর্যন্ত ৪ আসরে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন সাকিব। দুইবার ফিরতে হয়েছে শিরোপার দুয়ার থেকে। ২০১২ সালে ছয় উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতেছেন। ২০১৮ এশিয়া কাপে শিকার করেছিলেন ৭ উইকেট।
তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এশিয়া কাপের ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৯ ম্যাচ খেলে এই পেসার সংগ্রহ করেছেন ১৮ উইকেট। ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৫ আসরে বল করেছেন। সফল ছিলেন ২০১২ আসরে। যদিও সেবার ফাইনালে ২ রানে হেরে পুরো বাংলাদেশের মত হতাশ হতে হয়েছিল তাকে।
তালিকার চতুর্থ স্থানে দেখা গেছে আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে। এশিয়া কাপের এক আসরে ৫ ম্যাচ খেলে তিনি সংগ্রহ করেছেন ১০ উইকেট। ২০১৮ সালের সেই আসরে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার পেছনে বড় অবদান ছিল ফিজের। যদিও ভারতের কাছে ফাইনালে হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। এই পেসার ৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
খুলনা গেজেট/এনএম