আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বস্ত করে দেওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও একই দশা করে ছাড়ছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানরা চড়াও হয়ে করছেন বড় রান। বোলাররাও তাদের সেরাটা ঢেলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন। ফিল্ডিংয়েও তেমন কোন ভুল করতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় নিজের আর কোন ঘাটতি আছে কিনা বুঝতে পারছেন না লিটন দাস। এর চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলা যায় কিনা তাও অজানা তার।
ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের অন্য ম্যাচটি ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩৮ রান করে জয় আসে ১৮৩ রানে। পরেরটি পরিত্যক্ত হলেও ৩৪৯ রান করে ব্যাটাররা নিজেদের সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েন। শেষ ম্যাচে আইরিশদের ১০১ রানে গুটিয়ে প্রথমবার ১০ উইকেটে জেতে বাংলাদেশ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে হারায় ২২ রানে। এবার বুধবার ১৭ ওভারে ২০২ রান উঠিয়ে সফরকারীদের ১২৫ রানে আটকে রাখেন বোলাররা।
টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার শুরু হয়েছিল অবশ্য আগের সিরিজে। ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে হারিয়ে চমকে দেয় নতুন আদলের বাংলাদেশ দল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ জেতার দিনে লিটন করেন ৪১ বলে ৮৩ রান। ১৮ বলে ফিফটি করে ভেঙে দেন ১৬ বছর আগে করা মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড। পরে সংবাদ সম্মেলনে দলের উন্নতির জায়গা নিয়ে প্রশ্নে কোন খামতি খুঁজে পাননি এই তারকা, ‘দল হিসেবে আমরা খুবই ভালো করছি। ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন বা ফিল্ডিং। এর থেকে ভালো ক্রিকেট আর খেলা যায় কিনা আমি জানি না। অবশ্যই চেষ্টা করব এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। কিন্তু এর থেকে বেটার ক্রিকেট প্রত্যাশা করাটাও কঠিন। কারণ প্রতিদিন টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে ৭০-৮০ রান আপনি প্রত্যাশা করতে পারবেন না। এর থেকে কম ৬০ রানও করতে পারি পাওয়ার প্লেতে আমি মনে করি যে খুব ভালো।’
দুই ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে তাণ্ডব চালায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। প্রথম ম্যাচে ৬ ওভারে আসে ৮১ রান। পাওয়ার প্লেতে যা বাংলাদেশের রেকর্ড। বৃষ্টিতে ১৭ ওভারে নেমে আসা দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ ওভারের পাওয়ার প্লেতে করে ৭৩ রান। পাওয়ার প্লে নিয়েও আলাদা কোন পরিকল্পনা ছিল না বাংলাদেশের, ‘এরকম কোন কিছু ছিল না। যখন ব্যাটিংয়ে নামেন এক দুই বল খেলে কিন্তু একটা ফিল কাজ করে। আমাদের একটা ফিল কাজ করছিল যে আমরা মারতে পারব। এজন্য আমরা চান্স নিয়েছি।’
বাংলাদেশের একপেশে ভালো খেলার পেছনে কিছুটা কারণ প্রতিপক্ষের পারফরম্যান্স। পুরো সিরিজে আইরিশ বোলাররা ছিলেন বেশ সাদামাটা। আলগা বল দিয়েছেন অহরহ। রান তাড়ায় ব্যাটাররাও দেখাতে পারেননি নিবেদন। বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই এত সহজ পরীক্ষা পাবে না বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এমএম