প্রতি বছরই কোরবানী ইদে সবেচেয়ে বড় ও দাম বেশি এ ধরনের গরু দেখতে অনলাইন ও টিভির পর্দায় চোখ রাখেন দেশবাসী। এবার কোরবানির ঈদে সবার দৃষ্টি কাড়তে পারে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী কলবাজার এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ হোসেনের ষাড় যার নাম দিয়েছেন নবাব।
নবাব কে তিন বছর ধরে অনেক যত্নে পালন করছেন ফিরোজ হোসেনের পরিবার। বিশাল আকারের এই গরুটির পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাড়ের ওজন প্রায় এক হাজার কেজির বেশি।
ফিরোজ হোসেন বলেন, নবাব কে গোয়াল ভেঙ্গে বের করতে হয়েছে। কারণ শুধু নামে নয় স্বাস্থ আর মেজাজ ও নবাবের মতই। তাই ছোট দরজা দিয়ে তাকে বাইরে আনা সম্ভব হয়নি। দিনের অনেকটা সময় নবাবের দিকে খেয়াল করতে হয়। খাওয়ানো, গোসল করানো, চিকিৎসা সহ সব কিছুর লক্ষ্য রাখেত হয়। সবচেয়ে ভালো দিক হলো ঘাস, কুড়া, পালিশ, লতাপাতা খেতে বেশি পচ্ছন্দ করে নবাব। নবারের ওজন প্রায় হাজার কেজি ছাড়িয়ে গেছে।
ফিরোজ হোসেন আরো বলেন, কোরবানী ঈদেক সামনে রেখে বড় গরুর তালিকায় সুধু সাতক্ষীরা জেলা নয় দেশের মধ্যে তার নবাব অন্যতম। প্রায় প্রতিদিনই দুর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে নবাব কে দেখতে।
নবাব অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রয় হবে নাকি হাটে বিক্রয় হবে তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে নবাব কে নায্য মূল্যে বিক্রি করতে বড় গরু ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রতিবছরই কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে দেশের অনেক খামারী পালন করেন ষাড়। যদি গো খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তাহলে দেশের তরুনরা গরুর খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে তিনি দাবি করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই