নড়াইল-২ আসনের ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার নিজস্ব অর্থায়নে দুস্থ এতিম শিশুদের ঈদ উপহার সামগ্রী, পার্কে ভ্রমণ ও খাবারের বিতরণ করা হয়।
শনিবার (৭ মে) নড়াইলের ৭০ জন দুস্থ এতিম শিশুর জন্য দিনটি ছিল পরম আনন্দের। ঈদের পোশাক পরে নিরিবিলি পিকনিক স্পটে আনন্দঘন দিন পার করেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার দুস্থ এতিম শিশুরা।
মাদরাসা ছাত্র আরাফাত ইসলাম জানায়, রাতের ঘুমটা ঠিকমতো হয়নি, কখন সকাল হবে এই ভাবনায়। কারণ একটাই, কখনো পার্কে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। সকালে গোসল সেরে ঈদ উপহার পাওয়া নতুন পাঞ্জাবি পরে অন্য শিশুদের সাথে বাসে চেপে বসে। বাসের গন্তব্য নড়াইলের লোহাগড়ায় অবস্থিত নিরিবিলি পিকনিক স্পট। বাস থেকে নেমে সারিবদ্ধভাবে ঢুকে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি চিড়িয়াখানার বিভিন্ন পশুপাখি দেখা বিভিন্ন রাইডে ওঠা। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কেটেছে তার।
মো. রহমতুল্লাহও আরাফাতের মতো এতিম শিশু। সে একসঙ্গে এত খাবার কোনোদিনও খায়নি। খাবারের বর্ণনা দিতে গিয়ে গলাটা ধরে গেল। সকাল থেকে আনন্দ হৈ হুল্লোড়ের পর খাবার খেয়ে সে তৃপ্ত ও আনন্দিত। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন সংসদ সদস্য মাশরাফির প্রতি।
লক্ষীপাশা মাদরাসা ও এতিমখানার ক্বারি সাইফুল্লাহ জানান, এতিম শিশুদের জন্য ঈদ উপহার, খাবারের ব্যবস্থা, ও বিনোদন কেন্দ্রে আনন্দঘন দিন পার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সংসদ সদস্য মাশরাফির প্রতি।
কুন্দশী আত-তাকওয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মাওলানা মুরসালিন জানান, এমন আয়োজন এতিম বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
ব্যক্তিগত কারণে মাশরাফি উপস্থিত থাকতে না পারায়, তার পক্ষে অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করেন লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও লোহাগড়া পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর আলী, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মারুফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুস সাদাত নোভা, লোহাগড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন রুহান, সাধারণ সম্পাদক নাঈমুর রহমান আরমান, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কোচ মো. আরমান চৌধুরী প্রমুখ।