কপোতাক্ষের পাড় ঘেষে ধীরে ধীরে চলছে একটি ট্রলার। জলযানটি সাজানো রয়েছে ছোটদের রঙিন পোশাক, মেহেদী, চুড়ি, শিশুদের খেলনা দিয়ে। যেন এক ভাসমান দোকান। ট্রলারটি দেখে যেখানেই শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে সেখানেই থামিয়ে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে পোশাক ও খেলনা।
উপকূলীয় অঞ্চল খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষের পাড়ে সোমবার (২ মে) দেখা যায় এমন চিত্র। শিশুদের পোশাক ও খেলনার পশরা সাজিয়ে ট্রলারে করে বিতরণ করা হচ্ছে ঈদের খুশি।
জোবায়ের হোসেন ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র। উপজেলা সদরের কপোতাক্ষ নদীর তীরে গোবরা গ্রামে তার বাড়ি। এবার ঈদে তার বাবা-মা নতুন কোন পোশাক কিনে দিতে পারেনি। এজন্য মন খারাপ ছিল তার। তবে ঈদের আগে ভাসমান দোকান থেকে নতুন পোশাক পেয়ে খুশি। নতুন পোশাক পরে সে ঈদের নামাজ পড়বে।
একই গ্রামের সুমাও ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী। নতুন কাপড় তো দুরের কথা, হাতে দেওয়া মেহেদীও কিনে দেইনি বাবা-মা। সেও বিনামূল্যে নতুন পোশাক পেয়েছে ভাসমান দোকান থেকে। সেই সাথে মেহেদী-চুড়ি। এগুলো পেয়ে বেজায় খুশি সুমা।
জানা যায় উপকূলীয় শিশুদের সাথে ঈদের আনান্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভাসমান দোকানটি গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকনিক সাপোর্টার, ক্রিকেট মাঠে চার ছক্কার সাথে গর্জে ওঠা টাইগার শোয়েব আলী।
টাইগার শোয়েব আলী বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে প্রতিনিয়ত ক্ষতি গ্রস্থ উপকূলের মানুষের অনেক অভাব। এখানকার অনেক মানুষ আছে যারা ঈদের সময় তাদের সন্তানদেরকে নতুন কাপড় কিনে দিতে পারেনা। তাই তাদের মুখে একটু হাঁসি ফোটাতে এবার ঈদে দিয়েছি এই ভাসমান দোকান। উপকূলের এই শিশু গুলোর মুখে হাঁসি ফোটাতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই