কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে যশোরের চৌগাছায় বেড়েছে গরু চুরি করার হিড়িক, ফলে আতঙ্কে নিরঘুম রাত পার করছে এই উপজেলার গরুর খামারিরা। একের পরে এক গোয়ালের তালা ভেঙ্গে গরু চুরি করায় আতঙ্ক বেড়েছে গরু খামারিদের মাঝে।
কয়েকদিনের ব্যবধানে সদর ইউনিয়নের কয়ারপাড়ায় গরু চুরির হিড়িক পড়ে গেছে। গভীর রাতে চোরেরা যশোর-চৌগাছা মেইন সড়কে পিক-আপ ভ্যান রেখে নেমে যায় গরু চুরি করতে।
গত ৩ জুলাই উত্তর কয়ারপাড়ার কৃষক আঃ ওয়াদুদের গোয়াল থেকে ২টি গাভী চুরি হয়ে যায়। গাভীর বাজার দর প্রায় ৩ লাখ টাকা বলে তিনি জানান। এছাড়া ৮ জুলাই রাতে দক্ষিন কয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমানের গোয়াল থেকে ১টি গাভী ও ১টি এঁড়ে গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। তারও বাজার দর প্রায় ২ লক্ষ টাকার মতো বলে তিনি জানান।
কয়ারপাড়ার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাতে চোরেরা গরু চুরি করতে আসছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা গরু চুরি হয়ে গেছে, ফলে আমরা গরু চুরি রোধে গ্রামের সবাই মিলে রাত জেগে পাহারায় থাকি।
গরুর খামারি আবুবক্কর জানান, হঠাৎ করে আমাদের গ্রামে গরু চুরি বেড়ে গেছে তাই বাধ্য হয়েই আমরা গ্রামবাসী মিলে রাত জেগে গরু পাহারা দিচ্ছি।
একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় গ্রামের মানুষের মাঝে এক ধরনের আতংক দেখা দিয়েছে। কখন কার গোয়াল খালি করে চোরচক্র এই আতংকে অনেকেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু এ ভাবে আর কত দিন চলবে প্রশ্ন রেখে ভুক্তভোগীরা বলেন, সংঘবদ্ধ এই চোরচক্রকে পাকড়াও করতে না পারলে গ্রামের দরিদ্র কৃষকদের তারা সর্বহারা করে ফেলবে। তাই চোরের কবল হতে রক্ষা পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীসহ সাধারণ গ্রামবাসি।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি