ইন্টারনেটের অপব্যবহারের মাধ্যমে শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে মিডিয়া সাংবাদিক ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে এক সংলাপ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা ত্রিশমাইলস্থ অগ্রগতি সংস্থার পিটিআরসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অগ্রগতি সংস্থা আয়োজিত সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুস সবুর। সংলাপে বক্তৃতা করেন চ্যানেল দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এর আমিনা বিলকিস ময়না, দৈনিক পত্রদূতের বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, চ্যানেল নাইনের কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জী, জয়বাংলা টিভির মোস্তাফিজুর রহমান, স্টেকহোল্ডার জাহিদা জাহান মৌ, পল্লবি সরকার, পপি আক্তার, আব্দুল আলিম প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষায় ইন্টারনেটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দক্ষ সৈনিক হিসেব গড়ে তুলতে হলে সকলকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। ইন্টারনেটের কুফলকে চিরতরে বর্জন করতে হবে। ইন্টারনেটের অপব্যবহারের ফলে অনেক সম্ভাবনা অকালে ঝরে যাচ্ছে। প্রতিভার পতন হচ্ছে। আর এ পতন রোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণকে সচেতন হতে হবে।’
সংলাপে বক্তারা আরো বলেন, ‘এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিনমাসে সাতক্ষীরায় শিশুর যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০টি। এরমধ্যে ৭ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫জন, ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে একজন। ১৮ থেকে ২০ বছরের ৪জন এবং ২১ থেকে ২৪ বছর বয়সী একজন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ওই তিন মাসে হত্যা হয়েছেন ২জন। নির্যাতনে আত্মহত্যা করেছে একজন। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪জন। এছাড়া ধর্ষণে চেষ্টা করা হয় আরও দুই জনকে। এটা শুধু স্থানীয় পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য। এর বাইরে হয়তো আরও অনেক ঘটনা থাকতে পারে, যা অপ্রকাশিত থেকে গেছে।’ ভার্চুয়াল জগৎ নয়, একচুয়াল জগতকে উপলব্ধি করে ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মাসুম বিল্লাহ সোহাগ। সংলাপে সাংবাদিক, সিআরডিএফ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম