সাতক্ষীরা সীমান্তের ইছামতি নদীর ভাতশালা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া হাত-পা, মাথা কাটা লাশের পরিচয় মিলেছে। সোমবার (২৮ জুন) রাতে দেবহাটা থানায় গিয়ে নিজের মেয়ে মোসলেমা বলে শনাক্ত করেন সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমিরউদ্দিনের স্ত্রী শাহীদা খাতুন।
এদিকে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দহ সীমান্তের ইছামতী নদীর চর থেকে মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকালে নিহতের দু’টি কাটা হাত উদ্ধার করেছে। তবে কাটা দুই পা ও মাথা উদ্ধার করা যায়নি।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, সোমবার দুপুরে ইছামতী নদীর দেবহাটা উপজেলার ভাতশালা নামক স্থান থেকে হাত-পা ও মাথা কাটা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে লাশের পেটে একটি কালো পোড়া দাগ থেকে নিজেরে মেয়ে মোসলেমা বলে নিশ্চিত হন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমিরউদ্দিনের স্ত্রী শাহীদা খাতুন।
শাহীদা খাতুন জানান, সদরের লক্ষীদাড়ি গ্রামের শহীদুলের সঙ্গে মোসলেমার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী মারা যাওয়ায় এক সন্তানের জননী মোসলেমার সঙ্গে ২০১৯ সালের মে মাসে সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের বাবুরালীর ছেলে রফিকুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করায় গত মার্চ মাসে মোসলেমা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বিদেশে চলে যায়। কিন্তু রফিকুল তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে শনিবার মোসলেমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে। রোববার তিনি মেয়েকে দেখতে হাড়দ্দহা গ্রামে গেলে দেখা করতে দেয়নি রফিকুৃল ও তার বাড়ির লোকজন। মোসলেমাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা ও মাথা কেটে লাশ গুম করতে ইছামতী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবুল আক্তার জানান, মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মোসলেমার লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। লাশের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/এনএম